
শরীয়তপুরের নড়িয়ায় খালখননে বাঁধা হয়ে দাড়িয়েছে অবৈধ স্থাপনা, ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ প্রশাসন। উপজেলার ভোজশ্বরের মশুরা গ্রামে খালের জমিতে অবৈধ স্থাপনা রেখে খনন কাজ চালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠে প্রকল্প ঠিকাদার ও পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ খনন কাজে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে।
সরকারি খালের জমিতে অবৈধ স্থাপনা ও ব্যক্তি মালিকানাধীন কালভার্ট থাকলেও তা ভাঙ্গার কোন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ তুলেছে স্থানীয় এলাকাবাসী।
সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, ৫৪ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নড়িয়া উপজেলার জপসা কীর্তিনাশা নদী থেকে ভোজেশ্বর গড়াইল মশুরা হয়ে তেতুলতলা ব্রিজ অভিমুখী খালটির খনন কাজ শুরু করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। উক্ত খালে গড়ে উঠেছে কালভার্ট, ঘরবাড়ি, টয়লেটসহ নানামূখি স্থাপনা। আইনের তোয়াক্কা না করে খালের মাঝে গড়ে তোলা হচ্ছে ব্যক্তি মালিকানায় এসব স্থাপনা। আর এসব কারসাজির সাথে হাত রয়েছে প্রকল্প ঠিকাদার বাবু হাওলাদার ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ কিছু অসাধু সিন্ডেকেটের।
নড়িয়া উপজেলার ভোজেশ্বরের শিরঙ্গল চৌরাস্তার এলাকাবাসী থেকে জানা যায়, সরকারি খালটির খনন এলাকায় এলেম মাঝী, সিরাজ বেপারী, আ: খালেক মাদবর, সেলিম মাদবর ও আকবর মাদবর নামে ৭/৮ জন ব্যাক্তি মালিকানাধীন কালভার্ট নির্মাণ করেছে। এদের মধ্যে এলেম মাঝী ও সিরাজ বেপারী কালভার্ট নির্মাণের পাশাপাশি অবৈধভাবে স্থাপনা তৈরী করে রেখেছে। শিরঙ্গল চৌরাস্তার দারুস সালাম মসজিদের টয়লেট টিও ভেঙ্গে দেয়া হয় কিন্তু ব্যাক্তি মালিকানাধীন স্থাপনা গুলো বহাল রেখেছে ঠিকাদার সহ প্রকল্পের কর্মকর্তারা। এতে অনেকটাই দুঃখ প্রকাশ করেন মসজিদের মুসল্লিসহ এলাকাবাসী।
ঠিকাদার বাবু হাওলাদার বলেন, আমাদের খাল খনন করতে গিয়ে কিছু কিছু সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। কিছু মানুষ ব্যক্তিগত বাড়িঘর ও কালভার্ট বানিয়ে খাল খননের মূল উদ্দেশ্য ব্যহত হচ্ছে। এ বিষয়ে উপজেলা প্রশাসনকে অবগত করেছি। প্রশাসন ব্যবস্থা নিয়ে হয়ে উঠে পারছে না।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উক্ত খাল খননের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জসীম উদ্দিন বলেন, খাল খনন করতে গিয়ে আমাদের অনেক প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে। যেভাবে ও যে মাপে খাল খনন করা প্রয়োজন, সেভাবে করতে পারছি না। বাঁধ সাজছে স্থানীয় ব্যক্তি মালিকানাধীন কিছু খাল দখলকারী প্রভাবশালী বাড়িওয়ালা।