
হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট ও ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রনালয় গোপালগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয়ের আয়োজনে শরীয়তপুরে ধর্মীয় ও আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে পুরোহিত সেবাইতদের দক্ষতা বৃদ্ধিকরণে অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৭ নভেম্বর দুপুর ১২টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক মো. পারভেজ হাসান।
তিনি বলেন, সময়ের বিবর্তণে মানুষ ধর্মকে পেশা হিসেবে নিয়েছে। বিগত সময়ে বিত্তবানদের ধর্মীয় নেতা হতে দেখা গেছে। তারা নামাজ পড়িয়ে বা মন্দিরে পূজা করে সম্মানির আশা করতেন না। ইমাম, পুরোহীত বা ধর্মীয় নেতারা এমনিতেই সম্মানী ছিলেন। বর্তমানে সেই পরিস্থিতি নেই বলে সরকার ইতোমধ্যে ৩ লাখ ইমামদের প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রশিক্ষিত করেছেন। প্রশিক্ষিত ইমামগণ নিজেদের পেশা বাছাই করে নিয়েছেন। এখন তারা নামাজ পড়িয়ে সম্মানির আশা করেন না। আমার জানামতে এক ইমাম প্রশিক্ষণ নিয়ে এখন উবার চালায়। উবার চালানের বিষয়টি সে মসজিদের মুছল্লিদের জানিয়ে রেখেছেন। এখন মসজিদের ইমামদের ন্যায় মন্দিরের পুরোহীত ও সেবাইতদের প্রশিক্ষিত করা হবে। তারাও যেন বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারেন। তার পরেও মসজিদের ইমাম, নিত্য পুজারী মন্দিরের পুরোহীত ও সেবাইতদের বেতন কাঠামোর আওতায় আনবে সরকার।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক শাখাওয়াত হোসেন পরিচালনায় সভায় সভাপতিত্ব করেন হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাষ্টি শ্রী রাজেন্দ্র চন্দ্র দেব মন্টু। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক অনল কুমার দে, খামার বাড়ির উপ-পরিচালক কৃষিবীদ আ. সাত্তার, জেলা তথ্য অফিসার মনিরুল ইসলাম, যুব উন্নয়নের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক কামাল উদ্দিন, সরকারী গোলাম হায়দার খান মহিলা কলেজের প্রভাষক আমিনুল ইসলাম প্রমূখ। সভায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা কানাই লাল কুন্ড। অনুষ্ঠান শেষে বাছাইকৃত মন্দিরের পুরোহিত ও সেবাাইতদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ৪ | |||
৫ | ৬ | ৭ | ৮ | ৯ | ১০ | ১১ |
১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮ |
১৯ | ২০ | ২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ | ২৫ |
২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ | ৩০ | ৩১ |