
শরীয়তপুরে একটি বেসরকারি মাদ্রাসার সাইনবোর্ড লাগাতে গিয়ে বিদ্যুৎপৃষ্টে নজরুল ইসলাম (২২) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এসময় আরও দুইজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
শনিবার(১৮ নভেম্বর) বিকেল ৪ টার দিকে শরীয়তপুর পৌরসভার মহিলা কলেজ সংলগ্ন আহলে সুফফা মাদ্রাসার অস্থায়ী ক্যাম্পাসে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত নজরুল ইসলাম মোল্লা শরীয়তপুর পৌরসভার দক্ষিণ বালচুড়া গ্রামের সেকান্দার মোল্লার ছেলে। আহত এমদাদ ফকির (৪০) পৌরসভার ধানুকা এলাকার আনোয়ার ফকিরের ছেলে। জাহাঙ্গীর হাওলাদার একই এলাকার নূর জামান হাওলাদারের ছেলে। নিহত নজরুল ইসলাম ও আহত জাহাঙ্গীর হাওলাদার এমদাদ ফকিরের ওয়ার্কশপের দোকানের কর্মচারী ছিলেন।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শরীয়তপুর জেলা প্রশাসকের বাসভবনের বিপরীত পাশে সরকারি মহিলা কলেজ সংলগ্ন একটি বাড়িতে আহলে সুফফা মাদ্রাসার অস্থায়ী ক্যাম্পাস। বিকেলে ওই ক্যাম্পাসের নামফলকের সাইনবোর্ড লাগাতে গিয়েছিল এমদাদ ফকির, জাহাঙ্গীর হাওলাদার ও নজরুল ইসলাম মোল্লা। সাইনবোর্ড লাগানোর সময় তিনজনেই বিদ্যুৎপৃষ্টে আক্রান্ত হোন। দ্রুত তাদেরকে শরীয়তপুর সদর হাস্পাতালে নিয়ে যাওয়া হলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক নজরুল ইসলাম মোল্লাকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত বাকি দুইজনের শরীরের বিভিন্ন স্থান পুরে গেছে। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
স্থানীয় মোক্তার শেখ বলেন, মাদ্রাসার সাইনবোর্ড লাগাতে গিয়ে বিদ্যুৎপৃষ্টে তিনজন লোক আহত হয়েছে। আহতদের আমরা দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে আসছি। চিকিৎসক একজনকে মৃত ঘোষণা করেছেন।
নিহত নজরুল ইসলাম মোল্লার চাচাত ভাই ইমন মোল্লা বলেন, নজরুল অনেক ভালো ছেলে ছিল। ঠিকমত কাজকর্ম করত। বাবা মা নেই নজরুলের। তার অন্য ভাইয়েরাও শ্রমিকের কাজ করে। একটু সতর্ক হয়ে কাজ করলে হয়ত নজরুল মারা যেত না।
পালং মডেল থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) চুন্নু শেখ বলেন, বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নজরুল নামে এক যুবক মারা গেছেন। এমদাদ ও জাহাঙ্গীর নামে অন্য দুইজন মারাত্মক আহত হয়েছে৷ নজরুলের মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ৪ | |||
৫ | ৬ | ৭ | ৮ | ৯ | ১০ | ১১ |
১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮ |
১৯ | ২০ | ২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ | ২৫ |
২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ | ৩০ | ৩১ |