
সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে আজ ঢাকা সেনানিবাসে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অগ্নিসন্ত্রাসের মাধ্যমে কোনো কিছু অর্জন করা যায় না। জনগণের কল্যাণ করেই অর্জন করা যায়।
তিনি বলেন, “মানুষকে পুড়িয়ে মেরে কিছু অর্জন করা যায় না। জনগণই মূল শক্তি। যারা এগুলো করছে তাদের চেতনার ফিরে আসুক- এটাই আশা করি।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “অগ্নিসন্ত্রাস দেখেছি মুক্তিযুদ্ধের সময়ে। মানুষকে কীভাবে জ্বালিয়ে মারতে পারে, কীভাবে একটা মানুষকে পুড়িয়ে মারে। সাম্প্রতিক সময়েও এ অগ্নিসন্ত্রাস দেখছি। সবাইকে সচেতন হতে হবে। নানা চক্রান্ত চলছে। এই বাংলাদেশ বদলে যাওয়া বাংলাদেশ।”
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “সরকারে আসার পর থেকেই আমার প্রচেষ্টা ছিল দলমত নির্বিশেষে যারা মুক্তিযুদ্ধ করেছে, তাদের সম্মানিত করা। তাদের ভাতা দেওয়া। তারা যেন গর্বের সঙ্গে বলতে পারে আমরা মুক্তিযোদ্ধা। ভাতার টাকাগুলো সরাসরি অ্যাকাউন্টে চলে যায়। এছাড়া চিকিৎসা ভাতা, শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দিচ্ছি। তিন কোটিরও বেশি শিক্ষার্থী উপবৃত্তি পায়। এর বাইরেও আমরা মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ভাতার ব্যবস্থা করেছি।”
তিনি বলেন, “আমাদের লক্ষ্যটাই হচ্ছে- এদেশে কোনো ভূমিহীন-গৃহহীন থাকবে না। আমরা ভূমিহীনদের ঘর, মুক্তিযোদ্ধাদের বীর নিবাস করে দিচ্ছি। মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতিবিজড়িত স্থানগুলোকে স্মরণীয় করে রাখতে চেষ্টা করে যাচ্ছি। সবাইকে মনে রাখতে হবে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা বিজয় অর্জন করেছি। যে কাজই করি না কেন, আমাদের মনে রাখতে হবে আমরা বীরের জাতি।”
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে উপস্থিত ছিলেন সশস্ত্র বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, এমপি, আমলা, মুক্তিযোদ্ধা ও অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।