
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় চলমান যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে। বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) ভোররাত চারটার দিকে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় প্রস্তাবটি পাস হয়।
প্রস্তাবটিতে গাজায় অবিলম্বে একটি টেকসই ও দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধবিরতি, সেখানে মানবিক সহায়তা ও ত্রাণ সরবরাহ নিরাপদ করা, উপত্যকার উত্তরাংশের বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার যে নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েল— তা বাতিল করা।
মৌরিতানিয়া ও মিসরের যৌথ প্রস্তাবটিতে ১৫৩টি দেশ সমর্থন দেয়। যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলসহ ১০টি দেশ বিরোধিতা করে। আর ২৩টি দেশ ভোটদানে বিরত থাকে।
প্রস্তাবটি পাস হওয়ার ফলে গাজায় যুদ্ধবিরতির আশা বেড়েছে। তবে সাধারণ পরিষদে পাস হওয়া প্রস্তাব বাধ্যতামূলক নয়। কিন্তু এর রাজনৈতিক গুরুত্ব রয়েছে। বিষয়টি বৈশ্বিক দৃষ্টিভঙ্গিকে প্রতিফলিত করে।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে গত শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) গাজায় যুদ্ধবিরতির একটি প্রস্তাব উত্থাপিত হয়েছিল। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের ভেটোয় সে প্রস্তাব ব্যর্থ হয়।
গাজায় চলমান যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ফিলিস্তিনিদের প্রাণহানি বেড়ে ১৮ হাজার ৪১২ জনে পৌঁছেছে। আহত হয়েছেন আরও ৫০ হাজার ১০০ জন। ইসরায়েলে এক হাজার ২০০ জনের বেশি মানুষের প্রাণহানি হয়েছে।
ইসরায়েলের প্রতিশোধমূলক হামলায় গাজায় বেসামরিক মানুষদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। হামাসের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায়ও ইসরায়েলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের প্রস্তাব একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ। এটি আশা করা যায় যে, প্রস্তাবটি বাস্তবায়িত হলে গাজায় রক্তক্ষয় থামবে।
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ৪ | |||
৫ | ৬ | ৭ | ৮ | ৯ | ১০ | ১১ |
১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮ |
১৯ | ২০ | ২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ | ২৫ |
২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ | ৩০ | ৩১ |