
এই যে শিশুদের দেখছেন-ওরা সবাই সুবিধাবঞ্চিত খেটে খাওয়া পথশিশু। বেঁচে থাকার তাগিদে শিশু শ্রমিক। এরা কেউ বাসায় কাজ করে আবার কেউবা দোকানে কিংবা ওয়ার্কশপে। কেউ টেম্পূর হেল্পার কেউ ভ্রাম্যমাণ সবজির দোকানদার। এরা সবাই ছিন্নমূল শিশু। সমাজের আরসব যাবতীয় সুখ-সুযোগ ও সুবিধাবঞ্চিত। তারা এইটুকুন বয়সে জীবন বাঁচানোর তাগিদে কাজ করে। তবে এই ছবির শিশুগুলো শুধু কাজই করে না, শুভজনের সহযোগিতায় এরা লেখাপড়াও করে। বাজার অর্থনীতির এ যুগে শিক্ষা-পণ্যের আর্থিক মূল্য দেয়ার সামর্থ তাদের নেই। তবুও তাদের স্বপ্নের ছবি আঁকা থেমে নেই। সাহিত্য- সাংস্কৃতিক সংগঠন “শুভজন” এ সকল পথ শিশুর মাঝে শিক্ষার আলো ছড়ানোর প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে বহুদিন ধরে। আমরা সবাই আসন্ন ঈদের আনন্দ আয়োজনের পসরা সাজিয়ে চলেছি এবং অনেকক্ষেত্রে প্রয়োজনের চেয়ে আয়োজন বেশি। এসব পথশিশুরও ঈদ আসে, একখানা নতুন জামা পেতে ওদেরও ইচ্ছে হয়। শুভজন প্রচলিত অন্য সবার মতো নয়, শুভজনের কার্যক্রম একটু ভিন্নরকমই হয়। এই রমজানে সবাই যখন ইফতার কালচার আর ঈদ ফ্যাশনে ব্যস্ত। তখন শুভজন ব্যস্ত ছিল এই শিশুদের মুখে একটু হাসি ফোটাতে। ঈদের নতুন জামা আর বাহারি ইফতার যেন স্বপ্নময় একফালী ঈদের চাঁদ হাতে পাওয়া ওদের। আর এই হাসি ফোটাতে ওদের পাশে ছিলেন শুভজন উপদেষ্টা ও সাবেক সাংসদ কবি কাজী রোজী, যুগ্ম কর কমিশনার সফিউল আজম সেলিম, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড সদস্য কবি জাহিদুল হক, সাবেক অতিরিক্ত সচিব কথাশিল্পী মইনুদ্দিন কাজল, শুভজন সভাপতি কবি নইম হাসান এবং সাধারণ সম্পাদক আবৃত্তিশিল্পী তরুণ রাসেল, বিশিষ্ট কণ্ঠশিল্পী রুবিয়া মল্লিকা, এডভোকেট আবদুল মমিন চৌধুরী জসিম, সাংবাদিক নাসিরুদ্দিন শাহ্ এবং কবি নিপা চৌধুরীসহ অন্যান্য শুভজনেরা। সমাগত ইদ উল ফিতর উপলক্ষে সম্প্রতি ঢাকার দক্ষিণ বনশ্রীতে প্রায় চল্লিশজন ছিন্নমুল শিশুদের মাঝে একখানা করে লাল জামা হাতে দিয়ে শুভজন পেলো একচিলতে নির্মল চাঁদের হাসি ঊপহার। এর চেয়ে বড় ঈদ আনন্দ কি হতে পারে আর!!