
সুনামগঞ্জের চাঞ্চল্যকর এসিড অপরাধ দমন আইন মামলার চার্জশীট ভুক্ত সেই পলাতক এসিড সন্ত্রাসী মোজাম্মেল আলম ভুঁইয়া পাঁচ বছর পর অবশেষে র্যাবের হাতে রাজধানী ঢাকায় গ্রেফতার হয়েছে।
গোপন সংবাদের ভিওিতে র্যাব-৯, সিলেটের একটি চৌকস টিম বৃহস্পতিবার ভোরে এএসপি ওবাইন এর নেতৃত্বে রাজধানী ঢাকার রমনা থানার মগবাজার এলাকা থেকে বহুল আলোচিত সাইবার সন্ত্রাসী মোজাম্মেলকে গ্রেফতার করেন।
সে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট গ্রাম ও তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে’র চতুর্থ শ্রেণির কোয়ার্টারের বাসিন্দা আব্দুর রব ভ্ুঁইয়ার ছেলে।
উল্ল্যখ যে, ২০১৪ সালের ৩০ মার্চ রাতে দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি (বর্তমানে ষ্টাফ রিপোর্টার) সাংবাদিক হাবিব সরোয়ার আজাদের চতুর্থ শ্রেণিতে পড়–য়া ১১ বছরের মেধাবী স্কুলছাত্র মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের শিশু সন্তানকে গ্রামের বাড়ি তাহিরপুরের বাদাঘাটের পার্শ্ববর্তী কামড়াবন্দ গ্রামে এক শিক্ষিকার বাসায় প্রাইভেট পড়া অবস্থায় অন্যান্য সহপাঠিদের সাথে প্রকৃতির ডাকে সারা দিতে বের হলে সড়কের উপর পুর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা মোজাম্মেল নামের এ দুবৃত্ত এসিড নিক্ষেপ করে ওই স্কুল ছাত্রের মুখমন্ডল ঝলসে দিয়ে মোটরসাইকেল যোগে দ্রুত পালিয়ে যায়।
ঘটনার রাতে স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে এসিডদগ্ধ স্কুলছাত্রকে তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পর সেখানে তার অবস্থা আরো আশংকাজনক হওয়ায় গভীর রাতে সিলেট এমএজিও ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে শিশুসার্জারি বিভাগে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ভর্তি করা হয়।
পরবর্তীতে ভিকটিমের পিতা বাদী হয়ে এসিড অপরাধ দমন আইনে তাহিরপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
যা তাহিরপুর থানায় মামলা নং-০৬/ জিআর ৬০,তারিখ ০৫/০৪/২০১৮, ধারা এসিড অপরাধ দমন আইন /২০০২ এর৫(ক)।
মামলাটি অধিকতর তদন্ত শেষে থানা পুলিশ এসিড নিক্ষেপের ঘটনায় মোজাম্মেল আলম ভুইঁয়াকে অভিযুক্ত করে ২০১৪ সালের ৩০ মে আমল গ্রহনকারি জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশীট) দাখিল করেন।
মামলাটি জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে।
অপরদিকে এসিড নিক্ষেপের ঘটনার রাত থেকেই মোজাম্মেল দীর্ঘ পাঁচ বছর ২ মাস ২০ দিন যাবত দেশের বিভিন্ন স্থানে নিজেকে কখনো ফেসবুক/অনলাইন/টিভি সাংবাদিক এমডি মোজাম্মেল, জার্নালিস্ট মোজাম্মেল আলম ভুঁইয়া নামে ভুয়া ফেসবুক আইডি খুলে আবার ইউটিউবে চ্যানেল খুলে কখনো নিজেকে মডেল মিশেল কখনো নবাগত চিত্রনায়ক মিশেল নামে ছদ্দনাম ধারণ করে পালিয়ে থেকেও নানা লোকজনকে প্রভাবিত করে বিভিন্ন কৌশলে প্রতারনার জাল বিস্তার করে লাখ লাখ টাকা বিকাশের মাধ্যমে হাতিয়ে নেয়।