
“জনসংখ্যা ও উন্নয়নে আন্তর্জাতিক সম্মেলনের ২৫ বছর: প্রতিশ্রুতি দ্রুত বাস্তবায়ন।” এই শ্লোগানে শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণের মধ্য দিয়ে শরীয়তপুরে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস উদ্যাপন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) সকাল ১০ টায় শরীয়তপুর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্ত্বর থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়। শোভাযাত্রায় পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারী ও বিভিন্ন এনজিওসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিভাগের কর্মীরা অংশ নেয়। পরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
শরীয়তপুর পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের উপপরিচালক সোহেল পারভেজ এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক কাজী আবু তাহের। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আল মামুন শিকদার, সিভিল সার্জন ডা. খলিলুর রহমান, জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক অনল কুমার দে, শরীয়তপুর পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলাম কোতোয়াল ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহাবুর রহমান শেখ।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, এনজিও প্রতিনিধি ও সাংবাদিকবৃন্দ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক কাজী আবু তাহের বলেন, ‘স্বল্পোন্নত দেশগুলোয় ৯৪ সালে যেখানে মাত্র ১৫ শতাংশ নারী আধুনিক পরিবার পরিকল্পনা ব্যবহার করতো, বর্তমানে তা বেড়ে ৩৭ শতাংশ হয়েছে। বাংলাদেশে এ হার বর্তমানে ৬১ দশমিক ৬ শতাংশ। বাংলাদেশে গর্ভকালীন বা প্রসবকালে মাতৃমৃত্যুর হার বর্তমানে ১ দশমিক ৬৯ শতাংশ। ২০০৪ সালে এ হার ছিল ৩ দশমিক ২০ শতাংশ। ২৫ বছর আগে স্বল্প আয়ের দেশে একজন নারী কমপক্ষে ৬টি সন্তান জন্ম দিতো। বর্তমানে তা চারের নিচে নেমে এসেছে। বাংলাদেশে এ হার বর্তমানে ২ দশমিক ৫ শতাংশ।
তিনি আরও বলেন, ‘এই সব অর্জন সত্ত্বেও কায়রোর প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে এগিয়ে যেতে হবে এবং সেই সঙ্গে আধুনিক পরিবার পরিকল্পনার গতিশীলতা বাড়াতে হবে। তা করতে তিনটি বিষয়কে গুরুত্ব দিচ্ছে বর্তমান সরকার। সেগুলো হলো- পরিবার পরিকল্পনার তথ্য ও সেবার অপূর্ণ চাহিদার হার শূন্যের কোটায় নিয়ে আসা, কোনও নারী সন্তান জন্মদানকালে মারা যাবে না, অর্থাৎ প্রতিরোধযোগ্য মাতৃমৃত্যুর হার শূন্যে নামিয়ে আনা, মেয়ে ও নারীর প্রতি সহিংসতা ও যৌন হয়ারানির প্রবণতা বন্ধ হওয়া।
জেলা প্রশাসক বলেন, ১৯৯০ সালের ১১ জুলাই প্রথমবার ৯০টি দেশে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস উদযাপন করা হয়। তারই ধারবাহিকতায় নানা আয়েজনের মধ্য দিয়ে এ বছর বাংলাদেশ নানা আয়োজনে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস উদযাপন করছে। আগামী ১২-১৪ নভেম্বর কেনিয়ার নায়রোবিতে অনুষ্ঠিত হবে ‘নায়রোবি সামিট’। এই সামিটের সামগ্রিক প্রতিপাদ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এবারের বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় নির্ধারন করা হয়েছে- “জনসংখ্যা ও উন্নয়নে আন্তর্জাতিক সম্মেলনের ২৫ বছর: প্রতিশ্রুতি দ্রুত বাস্তবায়ন।”
আলোচনা শেষে জেলার শ্রেষ্ঠ কর্মী ও প্রতিষ্ঠানকে সনদপত্র প্রদান ও পুরস্কৃত করা হয়।
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ৪ | |||
৫ | ৬ | ৭ | ৮ | ৯ | ১০ | ১১ |
১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮ |
১৯ | ২০ | ২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ | ২৫ |
২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ | ৩০ | ৩১ |