
পদ্মা সেতুতে মানুষের মাথা ও রক্ত লাগবে এই গুজবকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে ছেলে ধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে বেশ কয়েকজন নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। দেশে চলমান এই গুজব প্রতিরোধে শরীয়তপুর জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, পদ্মা সেতুতে মানুষের মাথা ও রক্ত লাগবে এই গুজবকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে ছেলে ধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে বেশ কয়েকজন নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এটি সম্পূর্ণরূপে একটি গুজব। কোন প্রকার গুজবে কান দেবেন না এবং গুজব ছড়িয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করবেন না।
সেই সাথে শরীয়তপুরবাসীকে অনুরোধ করা হচ্ছে যে, গুজবে বিভ্রান্ত হয়ে ছেলে ধরা সন্দেহে কাউকে গণপিটুনি দিয়ে আইন নিজের হাতে তুলে নিবেন না। এ ধরনের গুজব ছড়িয়ে দেশে অস্থিতিশীলতা তৈরী করা রাষ্ট্রবিরোধী কাজের শামিল এবং গণপিটুনি দিয়ে মৃত্যু ঘটানো গুরুতর ফৌজদারী অপরাধ।
আসুন আমরা সকলে সচেতন হই, গুজব ছাড়নো এবং গুজবে কান দেওয়া থেকে বিরত থাকি। কাউকে ছেলে ধরা হিসেবে সন্দেহ হলে গণপিটুনি না দিয়ে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেই।
তিনি আরও বলেন, গুজব প্রতিরোধে শরীয়তপুর জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে বিভিন্ন প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, গুজব প্রতিরোধে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সচেতনতামূলক প্রচারণা অব্যাহত আছে।
গুজব ও গণপিটুনির মতো ঘটনা প্রতিরোধে শরীয়তপুর জেলার সকল থানায় মাইকিং এর মাধ্যমে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রচারণা চালানো হচ্ছে। পুলিশ হেডকোয়ার্টাস কর্তৃক প্রদত্ত নির্দেশনা জেলা পুলিশের ফেইস বুকের মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে।
জেলার সকল উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং সকল থানার অফিসার্স ইনচার্জদের নিয়ে গুজব প্রতিরোধ ও সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে মতবিনিময় সভা করা হয়েছে। জেলার সকল থানায় কমিউনিটি পুলিশিং ফোরাম এবং ওপেন হাউজ ডে অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সকল স্তরের জনগণের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রচারণা চালানো হচ্ছে।
এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আল মামুন শিকদার, তানভীর হায়দার শাওন, পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম উদ্দিন ও ডিআইও আজহারুল ইসলাম সহ জেলার বিভিন্ন মিডিয়ার প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।