
শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক কাজী আবু তাহের বলেছেন, ডেঙ্গু প্রতি বছরই একটি সময় ছিলো এবং আছে। এই বছর সংখ্যায় একটু বেশি হয়েছে। ডেঙ্গু কোন জটিল রোগ নয় বা এটি কোন সংক্রামক রোগও নয়। এই ডেঙ্গু রোগের কথা শুনে মানুষের আতংকিত হওয়ার কিছু নাই। সাবধানতা, সতর্কতাই এখানে যথেষ্ট।
শনিবার (৩ আগষ্ট) সকাল ১০টায় শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল চত্ত্বরে মশক নিধন ও পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচির ক্রাশ প্রোগ্রাম উদ্বোধন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
জেলা প্রশাসক কাজী আবু তাহের বলেন, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল জনপ্রতিনিধি, বিশেষ করে জেলা পরিষদ, পৌরসভা, উপজেলা পরিষদ, ইউনিয়ন পরিষদ, সকল রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ সবাইকে সাথে নিয়ে আমরা ইতিপূর্বে যে মশক নিধন ও পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু করেছিলাম সেটি অব্যাহত ভাবেই চলছিল। সর্বশেষ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ থেকে আমরা যে নির্দেশনাটি পেয়েছি সেই নির্দেশনা মোতাবেক আমরা সাধারণ জনগণ থেকে শুরু করে সবাইকে সম্পৃক্ত করে শরীয়তপুর জেলার সকল পৌরসভা একই সময়ে একযোগে মশক নিধন ও পরিচ্ছনতা অভিযানের সাথে ক্রাশ প্রোগ্রাম যোগ করেছি। এই প্রেগ্রাম চলবে।
তিনি আরও বলেন, ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর বেশির ভাগই শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি চলে গেছে। এরমধ্যে কেউ আশঙ্কাজনক অবস্থায় নেই। ক্রাশ প্রোগ্রাম শরীয়তপুর জেলার সকল পৌরসভা, সকল উপজেলা ও সকল ইউনিয়ন পরিষদকে ইনভল্ভ করে যতদিন পর্যন্ত আমাদের পরিবেশকে মশার জন্য, মশার বংশ বিস্তারের জন্য জিরোতে না নিয়ে আসতে পারবো, ততক্ষন পর্যন্ত আমাদের এ অভিযান চলবে। আমরা এই অভিযানে প্রত্যেক বাড়ির মানুষকে সচেতন হওয়ার জন্য আহবান জানাচ্ছি। সবাই যাতে এই কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে বাড়ি-ঘর, অফিস-আদালত এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিজেরা যেন এমন পর্যায়ে রাখে যেখানে কোন ভাবেই যেন তিনদিনের বেশি পানি জমে না থাকে এবং চারপাশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকে। শরীয়তপুরবাসীর সকল মানুষকে আমি এই আহব্বান জানাচ্ছি।
এ সময় পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলাম কোতোয়াল, বিভিল সার্জন ডা. খলিলুর রহমান, সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শেখ আব্দুল্লাহ, পৌর কাউন্সিলর হারুন অর রশিদ, আলমগীর মৃধা, সঞ্জিব নাগ, ইমু আক্তার সহ পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।
“নিজ আঙ্গিনা পরিষ্কার রাখি, সবাই মিলে সুস্থ থাকি” এই শ্লোগানে শরীয়তপুর পৌরসভার উদ্যোগে মশক নিধন ও পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচির ক্রাশ প্রোগ্রাম শুরু করা হয়েছে।
উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম ২০০ ডেগু টেস্ট কিট দিয়েছেন শরীয়তপুরবাসীর জন্য, জেলা প্রশাসক মন্ত্রী’র প্রতিনিধির নিকট হতে ডেগু টেস্ট কিট সমুহ গ্রহণ করেন এবং তা সিভিল সার্জন এর নিকট হস্তান্তর করেন।