
শরীয়তপুর সদর উপজেলার পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের স্বর্নঘোস গ্রামের বৃক্ষ প্রেমিক আঃ কাদের বয়াতীর ২৫ শতাংশ জমির উপর মেহগানি গাছ রোপন করেছেন। কিন্তু ভূমিদস্যুরা রাতের আধারে শতাধিক কাঠ গাছ কেটে ফেলেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
গত শনিবার সরজমিনে গিয়ে জানা যায় স্বর্নঘোষ গ্রামের আঃ কাদের বয়াতী বিগত ০৭/০৩/১৭ ইং তিনি তার ফুপু লালমনির ছেলে মেয়েদের কাছ থেকে সাবরেজিস্ট্রার দলিলের মাধ্যমে ২৫ শতাং জায়গা ক্রয় করেন এবং উক্ত জমিতে শতাধিক গাছের চারা রোপন করেন। উক্ত জমির দক্ষিনে অভিযুক্ত মোঃ গিয়াসউদ্দিন বয়াতী তার স্ত্রী শাহিনা খানম নামে বিগত ৩১/১০/১৮ সালে জনৈক জলেফা বেগম ও রফে জালিমনের নিকট থেকে ক্রয় করেন। আঃ কাদের বয়াতী জমি ক্রয়ের পর মোঃ গিয়াস উদ্দিন বয়াতী বিভিন্ন ভাবে এই জমি নিয়ে প্রাণ নাশের হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছিল কাদের বয়াতীকে। এক পর্যায়ে কাদের বয়াতীর ছোট ভাই হাকিম বয়াতী জমিতে গাছের চারা রোপন করতে গেলে গিয়াসউদ্দীন বয়াতীসহ ৪/৫ জন লোক বাঁধা প্রদান করেন। এ সময় কাদের বয়াতী গিয়াসউদ্দীন বয়াতীর কাছে স্থানীয় গণ্যমান্য লোক মিমাংশার জন্য আহবান জানান। জবাবে গিয়াসউদ্দীন বয়াতী জানান তিনি কাদের বয়াতীর চাড়াগাছ উপরে ফেলবেন। এক পর্যায়ে গত ৯ আগস্ট ২০১৯ আনুমানিক রাত ১ টার সময় কাদের বয়াতী তার অসুস্থ স্ত্রীর জন্য দিঘীর পাড় রুহুল আমীনের ফার্মেসীতে ঔষধ আনতে যাওয়ার সময় উক্ত জমির সামনে ওঁৎ পেতে থাকা জমিতে ৪/৫ জন লোক দেখতে পান। এমতাবস্থায় তিনি জিজ্ঞেস করলে গিয়াসউদ্দীন বয়াতীসহ অন্যরা প্রায় শতাধিক কাঠচাড়া উপরে ফেলে এবং পশ্চিম দিকে পালিয়ে যায়। বিষয়টি তিনি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানালে বিষয়টি মিমাংশার চেষ্টা করেন কিন্তু ভূমিদস্যু গিয়াসউদ্দিন বয়াতী অসহযোগিতামূলক আচরণ করেন। অভিযুক্ত গিয়াস বয়াতী কাদের বয়াতীর বিরুদ্ধে নানাভাবে ষড়যন্ত্র করন এবং বিভিন্নভাবে কুৎসা রটিয়ে হুমকি প্রদর্শন করতে থাকেন। বিষয়টি আইনের সহায়তা না পেলে যেকোন মুহূর্তে মারাত্মক সংঘর্ষ সৃষ্টি হতে পারে বলে অভিজ্ঞ মহলের ধারনা। বিষয়টির সুষ্ঠ সমাধান চেয়েছেন ভুক্তভোগী আব্দুল কাদের বয়াতী।
নামপ্রকাশ না করার শর্তে এলাকার অনেক লোকজন গিয়াসউদ্দীন বয়াতীর বে-পরোয়া চলাফেরা, নানা রকম হুমকি-ধমকি ও সন্ত্রাসী কার্যকালাপের বিরুদ্ধে ব্যাপক ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করেছেন।
এ ব্যাপারে কাদের বয়াতী প্রশাসনের নিকট সঠিক বিচার দাবী করেছেন।
গিয়াসউদ্দিন বয়াতী নানা অপকর্মে জড়িত বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। বিগত ১৮/০২/১৯ ইং এলাকার ইসমাইল বয়াতী গিয়াস উদ্দিন বয়াতীর নামে শরীয়তপুর পুলিশ সুপারের নিকট জমির লিখিত অভিযোগ দায়ের করে সুবিচার দাবী করেছেন তাতেও গিয়াস উদ্দিন বয়াতী ক্ষেন্ত হননি। তাকে নিয়ে শরীয়তপুর পালং মডেল থানার ওসি তদন্ত মোঃ হুমায়ুন কবিরের উপস্থিতিতে একাধিকবার দরবার করাও হয় কিন্তু সে বিভিন্ন অজুহাতে দরবার থেকে পালিয়ে যায়। তাই তাহার বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন এলাকার সচেতন মহল।