
শরীয়তপুর জেলা পরিষদের সহকারি প্রকৌশলী ভাস্কর মৃধাকে শারীরিক ভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে দুই ঠিকাদারের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় জেলা পরিষদের দুই ঠিকাদারের বিরুদ্ধে পালং মডেল থানায় মামলা হয়েছে। রোববার (১৮ আগষ্ট) জেলা পরিষদে এ ঘটনা ঘটে।
জেলা পরিষদ ও পালং মডেল থানা সূত্র জানায়, রোববার শরীয়তপুরে জেলা পরিষদের ১২টি উন্নয়নমূলক কাজের দরপত্রের লটারি চলছিলো। ওই কাজগুলো পাওয়ার জন্য মিনহা এন্টার প্রাইজের মালিক রাজিব সরদার ও তালুকদার ইলেকট্রিকের মালিক নাসির উদ্দিন তালুকদার দরপত্র জমা দেন। বাছাই পর্বে তাদের চারটি দরপত্র অযোগ্য হওয়ায় ওই চারটি কাজের লটারিতে তারা যোগ দিতে পারেন নি। এতে তারা সহকারি প্রকৌশলী ভাস্কর মৃধার উপর ক্ষুব্ধ হন। বিকাল সাড়ে চারটার দিকে তারা ভাস্কর মৃধার অফিস কক্ষে তাকে শারীরিক ভাবে লাঞ্ছিত করেন। ভাস্কর মৃধা বিষয়টি জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা ও চেয়ারম্যানকে জানান। তাদের পরামর্শে তিনি পালং মডেল থানায় মামলা করেন।
জেলা পরিষদের সহকারি প্রকৌশলী ভাস্কর মৃধা বলেন, বিভিন্ন সময় রাজিব ও নাসির আমার কাছে উন্নয়ন কাজের অনৈতিক সুবিধা চাইত। আমি দিতাম না, তাই তারা ক্ষুব্ধ ছিল। চারটি টেন্ডারে তাদের এ্যাসেট কম ছিল। এ কারণে মূল্যায়নে বাদ পরায় লটারিতে অংশ নিতে পারেনি। তাই ক্ষুব্ধ হয়ে তারা আমাকে মারধর করেছে। তারা অব্যাহতভাবে আমাকে হুমকী দিয়ে যাচ্ছে। এর আগেও তারা অনেকবার আমাকে হুমকি দিয়েছে।
জেলা পরিষদের প্রধান প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. নূর হোসেন বলেন, নাসির তালুকদার ও রাজিব সরদারের দরপত্র বাতিল হয়ে যাওয়ায় তারা ক্ষুব্ধ হয়ে সহকারী প্রকৌশলী ভাঙ্কর মৃধাকে শারীরিক ভাবে লাঞ্ছিত করে। এ ঘটনায় জেলা পরিষদের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মামলা দায়ের করা হয়েছে। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।
শরীয়তপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছাবেদুর রহমান খোকা সিকদার বলেন, অন্যায়ভাবে আমাদের প্রকৌশলীকে মারধর করা হয়েছে। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। এর বিরুদ্ধে আমরা আইনগত পদক্ষেপ নিয়েছি।
এ বিষয়ে জানার জন্য অভিযুক্ত ঠিকাদার রাজিব সরদার ও নাসির উদ্দিন তালুকদারের মোবাইল ফোনে কল করলে তাদের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম উদ্দিন বলেন, ঠিকাদার রাজিব ও নাসিরের বিরুদ্ধে প্রকৌশলীকে লাঞ্ছিতের অভিযোগে মামলা হয়েছে এবং তদন্ত চলছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।