
শরীয়তপুর সদর উপজেলায় শামীমা আক্তার (১৪) নামে নবম শ্রেনীর এক স্কুলছাত্রীর ওপর হামলা চালিয়েছে একালাকার চিহ্নিত বখাটে ও মাদকসেবী মিন্টু হাওলাদার (৩৬)। রোববার (২৫ আগষ্ট) সদর উপজেলার চিতলীয়া গ্রামে এই হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় গুরুতর আহত স্কুলছাত্রী শামীমাকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শামীমা চিতলিয়া গ্রামের রুহুল আমিন মৃধার মেয়ে ও আংগারিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেনীর ছাত্রী।
স্থানীয়রা জানান, বিকালে শামীমাকে বাড়িতে রেখে মা লুৎফা বেগম বোন শিখাকে ডাক্তার দেখানোর জন্য শরীয়তপুর সদরে যান। শামীমার ভাই মুজাম্মেল ও বাবা রুহুল আমিন মৃধা আংগারিয়া বাজারে নিজেদের দোকানে ছিলেন। বাড়িতে কোন লোকজন না থাকায় এলাকার রেজ্জেক হাওলাদার ছেলে চিহ্নিত মাদকসেবী বখাটে মিন্টু হাওলাদার রুহুল আমিন মৃধার বসত ঘরে ঢুকে আলমারি ভেঙ্গে টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় শামীমা ডাক চিৎকার ও বাধা দিতে গেলে বখাটে মিন্টু শামীমার মাথায় টর্চ লাইট দিয়ে আঘাত করে এবং ধারালো ছুরি দিয়ে হাতের ওপর একাধিক পোচ মারে। শামীমার ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে বখাটে শামীম টাকা ও স্বর্ণাংকার নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা শামীমাকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। শামীমার এখনও জ্ঞান ফেরেনি বলে জানান চিকিৎসক।
শামীমার ভাই মোজাম্মেল মৃধা বলেন, আমি ও আমার বাবা আংগারিয়া বাজারে আমাদের দোকানে ছিলাম। ছোট বোন শামীমাকে বাড়িতে রেখে বিকেলে মা বড় বোন শিখাকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে যায়। সন্ধ্যার সময় বাড়িতে লোকজন না থাকার সুযোগে এলাকার চিহ্নিত মাদকসেবী বখাটে মিন্টু হাওলাদার আমাদের ঘরে ঢুকে আলমারি ভেঙ্গে তিন লাখ টাকা ও প্রায় সাত ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়। এ সময় শামীমা টের পেয়ে এগিয়ে এলে তাকে টর্চলাইট দিয়ে মাথায় আঘাত করে এবং ধারালো ছুরিয়ে দিয়ে হাতে আঘাত করে গুরুতর জখম করে। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে শামীমাকে সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। শামীমার এখনও জ্ঞান ফেরেনি।
মোজাম্মেল আরও বলেন, মিন্টু হাওলাদার এলাকায় এ ধরনের ঘটনা আরো অনেক ঘটনা ঘটিয়েছে। তার বিরুদ্ধে এলাকায় জুয়া, মাদক ব্যবসা ও চুরি ডাকাতির একাধিক অভিযোগ রয়েছে। এ ঘটনায় আমরা থানায় মামলা দায়ের করবো। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
এ বিষয়ে পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম উদ্দিন বলেন, এ বিষয়ে আমারা এখনও অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।