Thursday 18th April 2024
Thursday 18th April 2024

Notice: Undefined index: top-menu-onoff-sm in /home/hongkarc/rudrabarta.net/wp-content/themes/newsuncode/lib/part/top-part.php on line 67

শরীয়তপুর জেলা কমিউনিটি পুলিশের উদ্যোগে মাদক, বাল্যবিবাহ, ইভটিজিং, সন্ত্রাস ও জঙ্গী বিরোধী সমাবেশ

শরীয়তপুর জেলা কমিউনিটি পুলিশের উদ্যোগে মাদক, বাল্যবিবাহ, ইভটিজিং, সন্ত্রাস ও জঙ্গী বিরোধী সমাবেশ

শরীয়তপুর জেলা কমিউনিটি পুলিশের উদ্যোগে মাদক, বাল্যবিবাহ, ইভটিজিং, সন্ত্রাস ও জঙ্গী বিরোধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বৃহস্পতিবার ৫ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টায় হাতেম ঢালী হাইস্কুল সংলগ্ন স্থানে পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর ও প্রবীণ হিতৈষী শরীয়তপুর জেলার স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সামাদ বেপারীর সার্বিক তত্ত্বাবধানে শরীয়তপুর জেলা কমিউনিটি পুলিশের এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এ সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন শরীয়তপুর জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন।
শরীয়তপুর জেলা কমিউনিটি পুলিশের সভাপতি ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জেলা কমিটির সহ-সভাপতি আলহাজ্ব নুর মোহাম্মদ কোতোয়াল-এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত বক্তব্য রাখেন, শরীয়তপুর সদর উপজেলা কর্মকর্তা মোঃ মাহাবুর রহমান শেখ, শরীয়তপুর পৌরসভা প্যানেল মেয়র হোসেন মোহাম্মদ আলমগীর। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, প্রবীণ হিতৈষী সংগঠনের জেলার সাধারণ সম্পাদক ও ভোজেশ্বর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মাসুক আলী দেওয়ান, পালং মডেল থানা ওসি তদন্ত হুমায়ুন কবির, পালং মডেল থানা ওসি অপারেশন আশরাফুল ইসলাম, শরীয়তপুর সদর উপজেলা কমিউনিটি পুলিশের সভাপতি ও আংগারিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনোয়ার কামাল ও শরীয়তপুর পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কমিউনিটি পুলিশের শরীয়তপুর পৌরসভা সভাপতি মজলিস খানসহ বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষক, সমাজসেবক, সাংবাদিক, পুলিশ, অভিভাবক ও ছাত্র-ছাত্রী বৃন্দ।
সমাবেশে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, বি এম ইউসুফ আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আলমগীর হোসেন। আরও বক্তব্য রাখেন, কাগদী দাখিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা কামরুজ্জামান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শরীয়তপুর জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন বলেন, আমাদের দেশে যত ধরনের অন্যায়-অপরাধ সৃষ্টি হচ্ছে, তার মূলে রয়েছে মাদক। মাদক থেকে আমাদের বাঁচতে হলে সকলকে সচেতন হতে হবে। শরীরে ক্ষুধা লাগলে যেমন অনুভব হয়, এমনি মাদকসেবীরা সময়মতো মাদক সেবন না করতে পারলে তাদের শরীরে একটা বিশেষ অনুভব হয়, তখন সে কোন অন্যায়কেই পরোয়া করে না। মাদকসেবী ও ব্যবসায়ীরা যতই শক্তিশালী হোক না কেন, তা সমাজ থেকে দূরীভূত করা জরুরি। এজন্য সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন।
বাল্যবিবাহ বিষয়ে বলতে গিয়ে পুলিশ সুপার বলেন, আমাদের সমাজের ছেলেমেয়েরা একটু বড় হলেই একে অপরে প্রেম করে থাকে ও অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে, যার কারণে অধিকাংশ বাল্যবিবাহ সংঘটিত হয়। এ ব্যাপারে আমাদের পরিবারের সকলকে ও শিক্ষকদের ভালোভাবে নজরদারি রাখতে হবে। তাহলে বাল্যবিবাহ রোধ হবে।
ইভটিজিং-এর বিষয়ে মেয়েদের উদ্দেশ্যে এ কর্মকর্তা বলেন, যদি তোমরা কোন ছেলেকে ইভটিজিং করতে দেখো সাথে সাথে প্রতিহত করার চেষ্টা করবে। সাহস নিয়ে প্রতিবাদ করবে, প্রতিহত করবে, তাহলে দেখবে তোমাদের কোন বখাটে ছেলে উত্ত্যক্ত করতে পারবে না। প্রয়োজনে পুলিশকে জানাবে অথবা শরীয়তপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানাবে।
সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে বলতে গিয়ে আব্দুল মোমেন বলেন, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে আমাদের রুখে দাঁড়াতে হবে। কারণ, এটা একটা আন্তর্জাতিক ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমার আপনার ছেলে-মেয়েরা যদি দেখেন হঠাৎ তাদের কথাবার্তায়, চলাফেরায় পরিবর্তন লক্ষ্য করেন, তাহলেই বুঝবেন সে কোন অনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়েছে।
শরীয়তপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাহবুবুর রহমান শেখ তার বক্তব্যে বলেন, এমন একটি সমাবেশে যোগদান করতে পেরে আমি নিজেকে ধন্য মনে করছি। মাদকসেবীরা মাদককে ঔষধ হিসাবে নেয় না, এটাকে নেশা হিসেবে নেয়। আসলে এমন ওষুধ আছে যা মানুষের বিভিন্ন অপারেশন ও অন্যান্য কাজে লাগে। ওইগুলো অতিরিক্ত সেবন করলে মানুষের ভিতরে নেশার কাজ করবে। আমাদের সমাজের কিছু অসচেতন নাগরিকের এ বিষয়ে জানা নাই যে, কোন জিনিস সেবন করতে হলে অবশ্যই স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের পরামর্শ নিয়ে নিতে হবে। মোটকথা, আমরা সকলে যদি সচেতন হই তাহলে মাদক, বাল্যবিবাহ, ইভটিজিং, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমন সম্ভব হবে।
অন্যান্য বক্তারা বলেন, এদেশের সরকার ও প্রশাসন মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। সকলে যদি সচেতন হয়, তাহলেই মাদক, বাল্যবিবাহ, ইভটিজিং, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ আন্দোলন সফলকাম হবে।