
শরীয়তপুর জেলার পালং থানাধীন চর পালং এর বাসিন্দা মৃত আফছার আলী বেপারীর ছেলে আব্দুর রাজ্জাক বেপারী (৬০) কে একই উপজেলার শৌলপাড়া ইউনিয়নের পূর্ব সারেঙ্গা গ্রামের মৃত সুলতান ফকিরের ছেলে মোঃ বাবুল ফকির (৪৭) জমি সংক্রান্ত জেরে মৃত্যুর হুমকি দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে এবং এ বিষয়ে ফৌজদারি আদালতে একটি মামলা হয়েছে ও শরীয়তপুর পুলিশ সুপার বরাবর ন্যায়বিচার পাওয়ার আবেদনও করা হয়েছে। জানা যায়, আব্দুর রাজ্জাক বেপারী তার ক্রয়কৃত সম্পত্তি সাবেক জেলা ফরিদপুর হলে শরীয়তপুরের পালং থানা অন্তর্গত ৬০নং পালং মৌজার পালং মৌজার এস.এ প্রস্তাবিত ২৩৬৯ নং খতিয়ানে ১২৫, ১৭৩, ১৭৪, ১৭৭, ১২৭, ১৭০, ১৬৯, ১২৬, ১৭২, ১৭১, ১৭৫, ১৭৬ নং দাগের ১.২১ একর ভূমি ২২৮/২০১২ নং দেওয়ানী মোকাদ্দমার মাধ্যমে ডিক্রি প্রাপ্ত হয় এবং কোর্টের মাধ্যমে চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার অর্ডার দেওয়া হয়েছে। এর পরেও বিবাদী বাবুল ফকির ১৬৯ নং দাগের জোরপূর্বক ভাবে ভোগ দখল করে বিল্ডিংয়ের কাজ শুরু করে ফেলছে।
এ বিষয়ে আব্দুর রাজ্জাক বেপারীকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, বিগত ০২-ই সেপ্টেম্বর’২০১৯ তারিখে বাবুল ফকিরকে আমি আমার খরিদা সম্পত্তি আমাকে বুঝাইয়া দেওয়ার জন্য বলিলে, বাবুল ফকির আমাকে এই বলিয়া হুমকি প্রদর্শন করে যে, ফরিদার সম্পত্তি আমাকে ভোগ দখল করতে দেবে না, সে আরো বলে, তোমার কোন ভূমি নাই এইভাবে আমাদের। বাবুল ফকির জোর করে আমার ভূমি দখলের পায়তারা করছে। আমার কথার কোনো কর্ণপাত সে করছে না বরং সে বলে যে যদি তুমি এই ভূমিতে দখলে যাওয়ার চেষ্টা করো তাহলে তোমাকে জীবনের তরে শেষ করে লাশ গুম করে ফেলব। সে অত্যন্ত খারাপ লোক, তার ভয়ে রাস্তাঘাটে হাটে বাজারে ভালভাবে চলাফেরা করতে পারিনা কারণ সে আমাকে মৃত্যুর হুমকি দিয়েছে। এ বিষয়গুলো আমার এলাকার সকলেই জানে।
বাবুল ফকির কে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করার জন্য তাকে পাওয়া যায়নি। মুঠোফোনে জিজ্ঞাসা করার জন্য মোবাইল ফোন করলেও তিনি মোবাইল ফোন রিসিভ করেননি।
প্রতিবেশী দোকানদার হাসানসহ অন্যান্যদের জিজ্ঞাসা করা হলে তারা বলেন, আমার দোকানের সামনে বাবুল ফকির বসে কথা বলছিল অন্যান্য লোকজনকে নিয়ে। কেউ কেউ বাবুল ফকিরকে বিষয়টি মীমাংসা করার জন্য বলতেছিল। কিন্তু তখন বাবুল ফকির বলে যে, আমার হাত অনেক লম্বা। বিল্ডিং এর জন্য এক কোটি টাকা খরচ করতে পারছি আব্দুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে লড়তে আরো বিশ লক্ষ খরচ করতেও পিছপা হবো না। ওকে যদি টাকা দিতেই হয়, তাহলে ছাদের উপর নিয়ে টাকা দিব।
এ বিষয়ে তদন্তকারী পালং মডেল থানার এসআই আতাউর মুঠোফোনে বলেন, বিষয়টি তদন্ত করার জন্য আমাকে দেওয়া হয়েছে আমি ঢাকা থেকে এসে বিষয়টি তদন্ত করে দেখব।