
১১ বছর যাবৎ আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায়। আমি পালং-জাজিরার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেছি। গত ১০ বছরে পালং-জাজিরাবাসীর ভাগ্যের কোন উন্নয়ন হয়নি। তাদের জীবনযাত্রার মান আগের মতই রয়েছে। এই এলাকার মানুষ পূর্ববর্তী এমপি সাহেবের ওয়াদা শুনে ভুলে রয়েছেন। ওয়াদার কোন প্রতিফলন ঘটাতে পারেনি সেই এমপি সাহেব। ওয়াদার বরখেলাপকারী কোন মুসলিম বা কোন ধর্মের লোক হতে পারে না। আমি আপনাদের এটা-ওটা করে দিব এমন ওয়াদা করি না। আমি আপনাদের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করি। ৮ অক্টেবার মঙ্গলবার দুপুরে কাশিপুর নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসার নব নির্মিত চারতলা একাডেমিক ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও শরীয়তপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন অপু এমপি।
এ সময় তিনি আরও বলেন, পদ্মা সেতুর দক্ষিন পাড়ের অংশ শরীয়তপুর। পদ্মা সেতুর টোল আদায় হবে শরীয়তপুরের মধ্যে বসে কিন্তু শরীয়তপুরবাসী চেয়ে চেয়ে দেখবে পদ্মাসেতুর উপর দিয়ে বাহারী রঙের গাড়ি যাতায়াত করছে। পদ্মা সেতুর সড়ক থেকে শরীয়তপুরের সাথে কোন সংযোগ সড়ক রাখা হয়নি। যখন পদ্মা সেতুর কর্মকান্ড শুরু হয় তখন পূর্ববর্তী এমপি সাহেব শরীয়তপুরবাসীর কল্যাণ চাইলে তা করতে পারতেন। আমাকে যখন দলীয় মনোনয়ন দেয়া হয় তখন একপক্ষ বলে বেড়াতো, আমি এমপি হলে শরীয়তপুরে কোন শান্তি থাকবে না। কোন অফিসার জেলায় চাকুরি করতে পারবে না। আমি শরীয়তপুরের শান্তি নষ্ট করব। আমি এমপি হওয়ার ১০ মাস অতিবাহিত হয়েছে। আপনারা এমন কোন কিছু দেখেছেন? আমাকে হাতে ধরে কেউ আওয়ামী লীগের পদ দেয়নি। আমি রক্তে-মাংশে আওয়ামী লীগ। আমার মরহুম পিতা কোন মন্ত্রী বা এমপি ছিলেন না। সে একজন খাঁটি আওয়ামী লীগ ছিলেন। আমি আপনাদের কোন ওয়াদা দিতে পারব না। আপনারা যে সমস্যা তুলে ধরবেন আমি তা সমাধানের চেষ্টা করব।
মাদ্রাসার নব নির্মিত ভবন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন খাদ্য মন্ত্রনালয়ের সাবেক সচিব ও মাদরাসা ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আব্দুল আউয়াল হাওলাদার। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন শরীয়তপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আব্দুর রব মুন্সী, চিতলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস ছালাম হাওলাদার। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সাবেক ছাত্রনেতা ও জেলা পরিষদের সদস্য শাখাওয়াত হোসেন হাওলাদার। এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সদস্য কামরুজ্জামান উজ্জল, জেলা জজ আদালতের জিপি এডভোকেট আলমগীর হোসেন মুন্সী, আজিজুল হক পাহাড়, গোলাম মোস্তফা, এডভোকেট মুরাদ হোসেন মুন্সী, মাদ্রাসার সুপার ইসমাইল হোসেনসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।