মঙ্গলবার, ৩রা অক্টোবর, ২০২৩ ইং, ১৮ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৮ই রবিউল-আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরী
মঙ্গলবার, ৩রা অক্টোবর, ২০২৩ ইং

শরীয়তপুরে চোরের হামলায় আহত মাদ্রাসা শিক্ষিকার মৃত্যু

শরীয়তপুরে চোরের হামলায় আহত মাদ্রাসা শিক্ষিকার মৃত্যু

শরীয়তপুরে চোরের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত মাদ্রাসা শিক্ষিকা ফাতেমা বেগম (৪২) মারা গেছেন। সোমবার (১৪ অক্টোবর) বেলা ১০টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এর আগে শনিবার (১২ অক্টোবর) দিনগত রাত আনুমানিক ১টার দিকে নিজ বতস ঘরে চোরের এলোপাথাড়ি ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ফাতেমা বেগম ও তার ছেলে জুবায়ের হোসেন (১৬) গুরুতর জখম হয়। তাদের উদ্ধার করে প্রথমে শরীয়তপুর সদর হপসাতাল, সেখান থেকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। ফাতেমা বেগম সদর উপজেলার গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী নাসির মাদবরের স্ত্রী এবং স্থানীয় বগাদী দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষিকা।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, স্বামী নাসির মাদবর দীর্ঘদিন যাবৎ মালয়েশিয়া প্রবাসী। ফাতেমা বেগম স্থানীয় বগাদী দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষিকা। দুই ছেলে জুবায়ের হোসেন (১৬) ও তুহিনকে (১৩) নিয়ে ফাতেমা বেগম স্বামীর বাড়ি বিনোদপুর খালাসীকান্দি গ্রামে বসবাস করে আসছিলেন। ছেলে জুবায়ের দশম শ্রেনী ও তুহিন অষ্টম শ্রেনীর ছাত্র। শনিবার (১২ অক্টোবর) দিনগত রাত আনুমানিক ১ টার দিকে ঘরের জানালা ভেঙ্গে মুখোশ পড়া এক চোর ঘরে ঢুকে আলমাড়ি ভাঙ্গার চেষ্টা করে। এ সময় ফাতেমা বেগম ও তার ছেলে জুবায়ের টের পেয়ে চোরকে ধরার চেষ্টা করে। এ সময় চোর ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি তাদের দু’জনকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। এ সময় তাদের ডাকচিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে চোর জানালা দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে গুরুতর অবস্থায় আহতদের উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাদের দ্রুত ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। রোববার (১৩ অক্টোবর) ভোরে আহতদের ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে পৌছলে সেখানে প্রাথমিক অপারেশন শেষে তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়া হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফাতেমা বেগমের মৃত্যু হয়। ছেলে জুবায়ের ঢাকা মেডেকেলে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আহত ফাতেমা বেগমের সাথে ঢাকায় যান স্থানীয় ইউপি মেম্বার জাকির হোসেন মাদরব। তিনি মুঠোফোনে ফাতেমা বেগমের মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করে বলেন, ফাতেমা বেগমের মরদেহ ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম উদ্দিন মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে বলেন, চোরের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত ফাতেমা বেগম ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আজ সকাল ১০ টার দিকে মারা গেছেন। এ ঘটনায় হত্যা মামলা হয়েছে। অপরাধীকে সনাক্ত করে শীঘ্রই আইনের আওতায় আনা হবে।


error: Content is protected !!