
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ শরীয়তপুর সদর উপজেলা শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও পালং উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আলহাজ্ব আবুল কালাম তালুকদার ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো প্রায় ৬৫ বছর। তিনি স্ত্রী ছেলে-মেয়ে সহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজন ও বন্ধুবান্ধব রেখে গেছেন। তার মৃত্যুতে রাজনৈতিক ও সামাজিক অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে আসে।
আওয়ামী লীগ নেতা মাস্টার আবুল কালাম তালুকদারের মৃত্যুতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বলে জানিয়েছেন শরীয়তপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন অপু।
এছাড়া পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম এমপি, শরীয়তপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য জননেতা ইকবাল হোসেন অপু, শরীয়তপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ছাবেদুর রহমান খোকা সিকদার, সাধারণ সম্পাদক অনল কুমার দে, শরীয়তপুর পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলাক কোতোয়াল সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতৃবৃন্দ গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। এছাড়া পালং উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীরা গভীর শোক প্রকাশ করে মাষ্টার আবুল কালামের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেছেন।
মঙ্গলবার রাত ১০টায় নিজ কর্মস্থল পালং উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মাস্টার আবুল কালামের জানাজা নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে। তার জানাজা নামাজে আওয়ামী লীগ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মী, বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতাকর্মী সহ সর্বস্তরের ধর্মপ্রাণ মুসল্লি অংশগ্রহন করেন।
আবুল কালাম তালুকদারের ভাতিজা রিংকু তালুকদার জানান, মাস্টার আবুল কালাম তালুকদার বেশ কিছুদিন যাবত বার্ধক্য জনিত রোগে ভুগছিলেন। প্রথমে তাকে ঢাকা ল্যাবএইড হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। ঢাকা মেডিলেক কলেজ হাসপাতালের আইসিউতে লাইফ সাপোর্টে চিকিৎসাধীন থাকাবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন। তিনি আওয়ামীলীগের জন্য আজীবন নিবেদিত প্রাণ হিসেবে কাজ করে গেছেন।