
ভারতের সুপ্রিম কোর্ট কর্তৃক “ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদ”-এর জায়গায় রাম মন্দির নির্মাণের প্রতিবাদে শরীয়তপুরে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। ১৩ নভেম্বর বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় শরীয়তপুর জেলা ওলামা পরিষদের আয়োজনে মুসলিম তৌহিদী জনতাকে নিয়ে এ বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
এ বিক্ষোভ মিছিলটি “ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদ” এর জায়গায় ‘রাম মন্দির’ হওয়ার প্রতিবাদের শ্লোগান দিয়ে শরীয়তপুর উত্তর বাজার জামে মসজিদের সামনে থেকে প্রধান প্রধান সড়ক অতিক্রম করে শরীয়তপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে এসে আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে শেষ হয়।
এ সময় শরীয়তপুর ওলামা পরিষদের সভাপতি মাওলানা শফিউল্লাহ খানের সভাপতিত্বে এবং বুড়িরহাট ঐতিহাসিক জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব সাব্বির আহমেদ ওসমানী উপস্থাপনায় উপস্থিত ছিলেন, শরীয়তপুর ওলামা পরিষদের উপদেষ্টা হাফেজ মাওলানা শওকত আলী, সহ-সভাপতি মাওলানা আবু বকর, মাওলানা শহিদুল্লাহ খন্দকার, সাধারণ সম্পাদক মুফতি ইদ্রিস কাসেমী, মাওলানা মাহিদ হাসান সিরাজী, মুফতি তোফায়েল আহমেদ কাসেমী, হাফেজ কেরামত আলী ও মাওলানা হাফিজুর রহমান শরিয়তপুরীসহ বিভিন্ন মাদ্রাসা-মসজিদের ইমাম, শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং সর্বোস্তরের তৌহিদী জনতা।
বিক্ষোভ মিছিলের শেষে আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ভারতের বহু বিতর্কিত বাবরি মসজিদ মামলা বা অযোধ্যা মামলা নিয়ে ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট যে রায় দিয়েছে তা চরম পক্ষপাতমূলক। মূলত ক্ষমতাসীন হিন্দুত্ববাদী মোদি সরকারকে খুশি করতে এ রায় প্রদান করেছে ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট। মুসলিম বিশ্ব এ রায় ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। শরীয়তপুর মুসলিম তৌহিদী জনতার বিক্ষোভ মিছিলে ওলামা পরিষদের ওলামাগণ তাদের বক্তব্যে বাবরি মসজিদের বিতর্কিত রায় প্রসঙ্গে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে এ কথা বলেন। তারা আরো বলেন, ১৫২৮ সালে মোঘল স¤্রাট বাবরের সেনাপতি মীর বাকি কর্তৃক তৈরি করা হয় বাবরি মসজিদ। উক্ত স্থানে কথিত ও কল্পিত রাম মন্দরি থাকার অজুহাতে ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর উগ্রবাদী হিন্দুদের দ্বারা বাবরি মসজিদ ভেঙে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টি করে শত শত মুসলমানকে শহীদ করা হয়। মুসলিম বিশ্ব সে ক্ষত এখনো ভোলেনি। বাবরি মসজিদের বিতর্কিত মামলার পক্ষপাতমূলক রায় এমন সময় দেওয়া হলো যখন ভারতের মুসলিম জনগোষ্ঠী হিন্দুদের হাতে চরমভাবে নির্যাতিত হচ্ছে। গো-মাংস ভক্ষণ ও জয়শ্রীরাম না বলার কথিত অপরাধে (!) পিটিয়ে হত্যা করা হচ্ছে। বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ করা হচ্ছে। আমি মনে করি, এ রায়ে হিন্দুদের খুশি করা হয়েছে। এর মাধ্যমে কট্টর হিন্দুদের উগ্রতা আরো বেড়ে যাবে। প্রত্নতত্ত্ববিদগণের বহুবার অনুসন্ধানের পরও সেখানে কোনো মন্দিরের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি। এরপরও বাবরি মসজিদের স্থানে রাম মন্দির স্থাপনের অযৌক্তিক রায় দেওয়া হয়েছে। আমাদের আশঙ্কা এতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির চরম অবনতি হবে। এহেন মুহূর্তে মুসলিম বিশ্বের বাবরি মসজিদ ইস্যুতে শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করা এবং ভারতীয় মুসলিমদের পাশে দাঁড়ানো উচিত। সে আলোকে আমরা বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নিয়েছি। প্রয়োজনে লংমার্চ করে এ রায়কে বদলে দেয়ার তীব্র প্রতিবাদ করার কথা ব্যক্ত করে ওলামা পরিষদের সমন্বয়ে শরীয়তপুর তৌহিদী জনতা। সবশেষে মুসলিম উম্মাহর জন্য দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ৪ | |||
৫ | ৬ | ৭ | ৮ | ৯ | ১০ | ১১ |
১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮ |
১৯ | ২০ | ২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ | ২৫ |
২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ | ৩০ | ৩১ |