অস্ট্রেলিয়ার লাকেম্বা পাবলিক লাইব্রেরী হলে প্রথম বারের মত বাৎসরিক নৈশভোজ ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা উদযাপন করেছে শরীয়তপুর বাসী।
অনুষ্ঠানের মূল আয়োজন ছিল কবিতা আবৃত্তি, সোনামণিদের ফেইস পেইন্টিং, ফেয়ারি ড্যান্স, আধুনিক ও লোকসংগীত। ফারিয়া আহমেদ, রুনু রফিক, সুলতানা নুর ও সুজন-এর মনমুগ্ধকর গান পরিবেশন অনুষ্ঠানের পূর্ণতা এনে দেয়।
মাসুম দেওয়ান, পলাশ হক, আসমা আলম ও সিরাজুল ইসলামের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকাস্থ ‘শরীয়তপুর জেলা সমিতি’র সভাপতি আনিস উদ্দিন মিয়া।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে শরীয়তপুর জেলার কৃষ্টি ও ঐতিহ্য বিশদভাবে তুলে ধরে ১৯৮৪ সালে ইতিহাস খ্যাত ফরায়েজী আন্দোলনের নেতা হাজী শরীয়তউল্লাহ্’র নামে ৬টি উপজেলার সমন্বয়ে নুতন জেলা শরীয়তপুর স্থাপনের প্রেক্ষাপট বর্ণনা করেন। এবং সুদূর প্রবাসে ঐক্যবদ্ধ হয়ে পারস্পরিক কল্যাণে সংগঠন গড়ে তোলায় অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসরত শরীয়তপুর বাসীকে অভিনন্দন জ্ঞাপন করেন।
অনুষ্ঠানের সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন বেলায়েত হোসেন, মো. আলী সিকদার, নুরুল হক মিলন, আবু বক্কর, শরীফ আহমেদ, স্বপন দেওয়ান, শফিক শেখ প্রমূখ।
সার্বিক তত্বাবধায়ন ও পরিকল্পনায় ছিলেন অত্র সংগঠনের কো-অর্ডিনেটর রফিক উদ্দিন মুন্সী।
উল্লেখ্য, পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত, অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শুরু হয়। এরপরে সদ্যপ্রয়াত স্বপন দেওয়ানের বাবা, কেয়া নুরের মা এবং নিরুপমার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রায় শতাধিক শরীয়তপুর বাসী উপস্থিত ছিলেন।