মঙ্গলবার, ২৬শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ইং, ১১ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১১ই রবিউল-আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরী
মঙ্গলবার, ২৬শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ইং

শরীয়তপুরের মাহমুদপুর ইউনিয়নে নিজস্ব ভূমিতেঘর উত্তোলনে বাধা প্রদান

শরীয়তপুরের মাহমুদপুর ইউনিয়নে নিজস্ব ভূমিতেঘর উত্তোলনে বাধা প্রদান

শরীয়তপুরের মাহমুদপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ মাহমুদপুর গ্রামের মরহুম আলেপ সরদারের ছেলে দেলোয়ার সরদারের নিজস্ব ভূমিতে ঘর উত্তোলনে বেআইনীভাবে আমজেদ সরদারের স্ত্রী শান্তিবেগম(৬০), কাশেম সরদারের ছেলে আবু বকর সরদার(৪৫), আবু ছালাম(৪২), মতি সরদার(৩৫) বাধা প্রদান করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

এ বিষয়ে দেলোয়ার সরদার জানান, এই ভূমি আমরা আর আমজেদ সরদার ও আবু বকরগং উভয় পরিবার আনোয়ার সরদার এবং জাহাঙ্গীর সরদার থেকে ওয়ারিশসূত্রে মালিক। আমাদের পূর্ব থেকেই ৮দাগের জমি সমান ভাগ বাটোয়ারা সাপেক্ষে ভোগ করে আসছি। কিন্তু এতদিন কোন ধরনের সমস্যা হয়নি। হঠাৎ আমরা আমাদের ভোগকৃত ঘর উত্তোলন করতে গেলে বেআইনীভাবে আমজেদ সরদারের স্ত্রী শান্তিবেগম, কাশেম সরদারের ছেলে আবু বকর সরদার, আবু ছালাম, মতি সরদার বাধা প্রদান করে। গ্রামের সালিশ মাহমুদপুর ইউপি চেয়ারম্যান শাহজাহান ঢালী, ৮নং ওয়ার্ডের আজম মেম্বার, মোতালেব সরদার, আলকাছ মাদবর, রাজ্জাক মাদবর, নূরুর হক সরদার ও মৃত আব্দুল কুদ্দুছ সমস্ত দাগের ভূমি সমন্বয় করে ভাগ বাটোয়ারা করে দেন। এখন আমাদের ভূমির অংশে ঘর উত্তোলন করতে যাওয়ায় বাধা দিচ্ছে কেন বুঝে আসছে না।

মাহমুদ ইউপি চেয়ারম্যান শাহজাহান ঢালী জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, আলী হোসেন সরদার ও দেলোয়ার সরদারদের সাথে আবু বকর সরদার ঘর উত্তোলন নিয়ে বাড়িতে সমস্যা আছে। আমরা আলী হোসেন সরদারের পাকা ঘরের সীমানা ঠিক রেখে জমি সমন্বয় করে দিয়েছিলাম, কিন্তু আবু বকর সরদারগং তা মানতে না পেরে পুলিশের সহযোগিতায় ঘর উত্তোলনে বাধা দিয়েছে। এখন পুলিশ যা ফায়সালা করে।

পুর্ব সালিশ আজম মেম্বারকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, আবু বকররা অন্যের কান কথা শুনে, ঘর উত্তোলনে বাধা দিয়েছে। আমরা সালিশরা এজন্য আবু বকর গংদের অন্য দিকে জমি সমন্বয় করে দিয়েছিলাম। যাতে আলী হোসেন সরদারের ঘর ভাঙা না যায়। কিন্তু ওরা তা না মেনে পুলিশের মারফত ঘর উত্তোলনে বাধা ও পাকা ঘর ভাঙার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে।

আবু বকর সরদারকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, আমরা এই দাগের সীমানায় জমি কম পেয়েছি। ওদের ঘরের কিছু অংশ আমাদের সীমানায় পরেছে। সালিশরা সমন্বয় করে দিয়েছিল, কিন্তু সমান পরিমাণের বেশি জমি আমাদের সালিশরা দিতে চাইলে, ওরা মানে না। কারন, সব জমির তো এক মূল্য হতে পারে না। এজন্য দেলোয়ার সরদার গং মানেনি বলে আমরা পুলিশের মাধ্যমে ঘর উত্তোলনে বাধা দিয়েছি।

এস আই এসকেন্দারকে মুঠোফোনে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, আমরা সালিশদের নিয়ে বিষয়টি সমাধান করার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু এক পক্ষ মানলেও আর এক পক্ষ মানতে চায় না। এজন্য এলাকার সালিশদের সহযোগিতায় ঘর উত্তোলনের কাজ সমাধান না হওয়া পর্যন্ত আপাতত বন্ধ করে দেই। আমরা দুই পক্ষকেই আমাদের দায়িত্বপ্রাপ্ত ওসি আশরাফুল ইসলামের মাধ্যমে মঙ্গলবার সন্ধায় ডেকেছি সমাধানের জন্য।

পালং থানার ইন্সপেক্টর অপারেশন আশরাফুল ইসলাম জানান, দুই পক্ষকে ডেকেছি তাদের সমস্যা কিভাবে সমাধান করা যায় সে ব্যাপারে দেখছি।


error: Content is protected !!