
পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ও জেলা প্রশাসকের ইট পোড়ানো লাইসেন্স ছাড়াই ইট তৈরি করায় শরীয়তপুর সদর ও নড়িয়া উপজেলায় তিনটি ইটভাটা উচ্ছেদ ও জরিমানা করা হয়েছে। ফরিদপুর জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক তুহিন আলমের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়।
উচ্ছেদ ও জরিমানা করা ইটভাটাগুলো হলো শরীয়তপুর সদরের ডোমসার এলাকায় গোলাম মোস্তফার মালিকানাধীন মেসার্স মেঘনা ব্রিক ফিল্ড, আটং এলাকায় আতাউর রহমান পিন্টু মোল্লা ও চাঁন মিয়া হাওলাদারের মের্সাস মদিনা ব্রিকস এবং নড়িয়া উপজেলার কালিকাপ্রশাদ এলাকায় ঢালী ব্রিক ফিল্ড।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে অভিযান শুরু হয়ে রবিবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুর পর্যন্ত তিনটি অবৈধ ইটের ভাটা উচ্ছেদ ও জরিমানা করা হয়। অবৈধভাবে ইটভাটা পরিচালনা করায় দুইটি ইটভাটা মালিককে ৩ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে ও ইটভাটার আগুন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা নিভিয়ে দেন। পরে ভেকু দিয়ে ভাটার স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। আর মেসার্স মেঘনা ব্রিক ফিল্ডের মালিককে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন শরীয়তপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাহবুর রহমান শেখ, নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার জয়ন্তী রুপা রায়। তাঁদের সহযোগিতা করেন পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।
পরিদর্শক তুহিন আলম বলেন, ওই সব ইটভাটার পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ও জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ইট পোড়ানোর লাইসেন্স নেই। এগুলো নিয়মনীতি না মেনে অবৈধভাবে পরিচালনা করা হচ্ছিল। শরীয়তপুরের বিভিন্ন এলাকায় অবৈধভাবে অনেক ইটভাটা কার্যক্রম চালাচ্ছে। তবে হাই কোর্টের নির্দেশে অবৈধ ইটভাটা বন্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।