
”জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ আমাদের গর্ব” প্রতিপাদ্যকে নিয়ে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ও স্মার্ট কার্ড বিতরণ করা হয়েছে।
১৬ ডিসেম্বর সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে এ সংবর্ধনা ও স্মার্ট কার্ড বিতরণ করা হয় ।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক কাজী আবু তাহের । জেলা প্রশাসক তার বক্তব্যে বলেন, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখেছিলেন। বীর মুক্তিযোদ্ধারা তৎকালীন যুবক, কৃষক, জনতা বঙ্গবন্ধুর ডাকে দেশকে স্বাধীন করার লক্ষে যুদ্ধ করেছেন এবং দেশকে স্বাধীন করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযোদ্ধাদেরকে সম্মান করেছেন। দিনে দিনে আরও সম্মান করবেন। সর্বপরি বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ সোনার বাংলা গড়তে হলে সোনার মানুষ চাই।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছাবেদুর রহমান খোকা সিকদার, পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা আবুল হাসেম তপাদর, সাবেক সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল ফজল মাস্টার, শরীয়তপুর পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলাম কোতোয়াল, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক আব্দুস সামাদ তালুকদার, সদর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সামিনা ইয়াসমিনসহ জেলার বীর মুক্তিযোদ্ধারা ।
বক্তারা বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। যারা বঙ্গবন্ধুর নের্তৃত্বে বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছেন। তাই এই দিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গভীরভাবে স্বরণ করছি, স্বরণ করছি যারা দেশকে স্বাধীন করতে গিয়ে শহীদ হয়েছেন ।
বক্তারা আরও বলেন, উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখে এর সুফল ঘরে ঘরে প্রতিষ্ঠা করতে হলে বৈষম্য কমাতে হবে। রাজনৈতিক অঙ্গনে শান্তি রক্ষায় সাম্প্রদায়িক শক্তি, জঙ্গিবাদ, যুদ্ধাপরাধী, জামাতের দোসর বিএনপিকের নির্মূল করতে হবে। পঁচাত্তরে একটা রাজনৈতিক বিপর্যয় ঘটেছে। সে সময় সামরিক শাসক, সাম্প্রদায়িক শক্তি, রাজাকার ও যুদ্ধাপরাধীরা দেশ দখল করে নিয়েছিল। এখন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা ঘুরে দাঁড়িয়েছি। বাংলাদেশ আবার বাংলাদেশের পথে চলছে।
এ সময় শরীয়তপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের দ্বিতীয় তলায় মুক্তিযুদ্ধ কর্ণার শুভ উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক কাজী আবু তাহের।
অনুষ্ঠান শেষে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১২ জন মুক্তিযোদ্ধাকে স্মার্ট জাতীয় পরিচয় দেয়া হয়। আর জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্বরণে ২০০ জন মুক্তিযোদ্ধাদের শুভেচ্ছা উপহার হিসেবে কম্বল প্রদান করা হয়।