
শরীয়তপুরে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সাধারণ ছুটি বর্ধিত করায় দেশব্যাপী চলমান গণপরিবহন বন্ধের সিদ্ধান্তে বিপাকে পড়তে হয় গণপরিবহন শ্রমিকসহ মালিকদের।
তবে জরুরি পরিষেবা সমূহের পরিবহন এ নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত থাকবে বলে জানায় প্রশাসন। এই পরিষেবাগুলোর বাইরেও চলাচল করছে নানামুখী যানবাহন। তবে থেমে নেই জণগণ, চলছে বিভিন্ন যানবাহণ।
শরীয়তপুর আন্ত:জেলা বাসচালক শ্রমিক সমিতির সদস্যদের একটাই দাবী সীমিত আকারে হলেও খুলে দেওয়া হোক গণপরিবহন।
এ বিষয়ে শরীয়তপুর বাসশ্রমিকদের জিজ্ঞাসা করা হলে তারা বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ শরীয়তপুরের গণপরিবহন বাস বন্ধ থাকায় আমরা বিপাকে দিন কাটাচ্ছি। প্রশাসনের সামান্য সহযোগিতায় আমাদের পর্যাপ্ত হচ্ছে না।
তারা আরও বলেন, ফেরী, অটো ও মটরসাইকেল গাদাগাদি চলছে, অথচ আমাদের বাস চলাচলেই যতো প্রশাসনের বাধা। তারা সীমিত আকারে হলেও গণপরিবহন খুলে দেওয়ার আহবান জানান, যাতে কোনমতে খেয়ে তারা বাচতে পারে!
শরীয়তপুর বাসশ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এলিম পাহাড় বলেন, বিভিন্ন বাজার ঘাটে, ফেরীতে ও অন্যান্য পরিবহনে মানুষের ভীড় দেখা যাচ্ছে। করোনার লকডাউন তারা মানছে না। কোন জায়গায় প্রশাসনের বিধিনিষেধ মানছে না লোকজন। সকলের আসা-যাওয়া ও যাতায়াত চলছে নির্বিঘ্নে। অথচ আমাদের বাস পরিবহনের যাতায়াতের বেলায় চলছে কঠোর আইন। তিনি বলেন, বাসশ্রমিকের কথা চিন্তা করে, সামান্য পরিমান বাস চালু করলে শ্রমিকরা অন্তত দুমুঠো খেয়ে বাচতে পারবে।
শরীয়তপুর বাস মালিক সমিতির সভাপতি ফারুক আহমেদ তালুকদার বলেন, আমরা শ্রমিকদের নিয়ে বিপাকে আছি। জেলা প্রশাসক ও উপজেলা ইউএনও’র মাধ্যমে শ্রমিকদের খাদ্য সামগ্রী দেওয়া হয়েছে। বসে থাকা শ্রমিকদের জন্য ইহা পর্যাপ্ত নয়। এজন্য শ্রমিকদের বাচতে সামান্য পরিমান হলেও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে গণপরিবহন চালুর অনুমতি দিতে পারে প্রশাসন।