Sunday 11th May 2025
Sunday 11th May 2025

করোনা পরিস্থিতিতেও কাজ থেমে নেই: শরীয়তপুর পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলাম কোতোয়াল

শরীয়তপুর পৌরসভার কাজ করোনা পরিস্থিতিতেও থেমে নেই: রফিকুল ইসলাম কোতোয়াল
করোনা পরিস্থিতিতেও কাজ থেমে নেই: শরীয়তপুর পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলাম কোতোয়াল

শরীয়তপুর পৌরসভার মেয়র, বাংলাদেশ পৌরসভা সমিতি (ম্যাব)’র সাধারন সম্পাদক ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম কোতোয়াল পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের সমস্যা নিরসনের উদ্দেশ্যে এলাকার বিভিন্ন জায়গায় তার কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছেন। করোনা পরিস্থিতিতেও তার কাজ থেমে নেই।

গত ১লা মার্চ থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহবানে সাড়া দিয়ে তার নির্দেশনায় পৌরসভার সকল স্থানে করোনা সচেতনতা লিফলেট, মাস্ক ও জীবানুনাশক ঔষধ বিতরণসহ পৌরসভার সবক’টি ওয়ার্ডে জীবানুনাশক স্প্রে অব্যাহত রয়েছে। এছাড়াও পৌরসভার পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতায় তার কর্মচারীদের কার্যক্রম চোখে পড়ার মতো।

মেয়র রফিকুল ইসলাম কোতোয়াল দীর্ঘদিন যাবত পা ভাঙ্গাজনিত অসুস্থ, এজন্য করোনোর সময়ে ভারতে চিকিৎসা নিতে গিয়েছিলেন এবং নিজ ইচ্ছায় মানুষকে সচেতনের লক্ষ্যে ১৪ দিনের হোমকোয়ারেন্টাইনেও ছিলেন। তারপরেও মহামারী করোনার ভয় ও সবকিছু উপেক্ষা করে শরীয়তপুর পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় ছুটে চলা যেন প্রতিদিনের নিত্যকর্ম হয়ে দাড়িয়েছে। এছাড়া করোনায় ক্ষুধার্ত মানুষের মুখে খাদ্যসামগ্রী বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেয়া হচ্ছে তার পৌরসভার পক্ষ থেকে। এ পর্যন্ত তার পৌরসভা ও নিজস্ব উদ্যোগে তিনি কয়েকটি ধাপে পৌরসভার সবক’টি ওয়ার্ডে কয়েক হাজার দুস্থ, অসহায় পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দিয়েছেন।

মেয়র রফিকুল ইসলাম কোতোয়াল বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের সকল দুর্যোগে মানুষের পাশে ছিলেন, বর্তমানে আছেন, আগামীতেও থাকবেন। জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকতে কোনো মানুষ কষ্ট থাকবে এটা হতে পারেনা, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে করোনা দুর্যোগেও দলের প্রতিটি নেতাকর্মী মানুষের কল্যানে কাজ করে চলছে আমিও তার ব্যাতিক্রম নই। শরীয়তপুর পৌরসভার মেয়র হিসেবে প্রতিটি মানুষের খোঁজ খবর নেওয়া আমার নৈতিক দায়িত্ব। আমি ঘরে বসে থাকলে চলবেনা। আপনারা ঘরে থাকুন, সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে নিরাপদ থাকুন। আমি আপনাদের পাশে আছি।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস আতঙ্কে কর্মহীন অসহায় মানুষের বাড়ি বাড়ি খাদ্য সামগ্রী পৌছে দিচ্ছি, যতদিন আমি বেঁচে থাকবো মানুষের কল্যানে কাজ করে যাবো। তিনি আরও বলেন, শরীয়তপুর পৌরসভার কোন মানুষ খাদ্যের অভাবে না থাকে, পৌরসভা খাদ্যসামগ্রী বিতরণ অব্যাহত রয়েছে এবং ১০ টাকা কেজি ওএমএস পদ্ধতি চালু রয়েছে।

এছাড়া তিনি ম্যাবস্ এর সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পৌরসভার তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীদের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট প্রণোদনার বিষয়ে দাবি তোলেন এবং বলেন প্রণোদনা পেলে এসব কর্মচারীরা অন্তত সাময়িকভাবে খেয়ে পড়ে বেচে থাকতে পারবে।