
দৈনিক রুদ্রবার্তা পরিবারের সদস্য শাহাদাত হোসেন খান এবছর এলএলবি পাস করেছেন।
শরীয়তপুর সদর উপজেলার উত্তর বালুচড়া গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত সরকারি চাকরিজীবী মতিউর রহমান খান-এর মেঝো পুত্র শাহাদাত হোসেন এলএলবি পাস করেছেন। তিনি বর্তমানে জেলার মাটি ও মানুষের পত্রিকা ‘দৈনিক রুদ্রবার্তা’র কম্পিউটার চীফ, নিউজ ডেস্ক ও সাব-এডিটর হিসেবে কর্মরত আছেন। শাহাদাত হোসেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতাধীন মাদারীপুর বঙ্গবন্ধু ল’ কলেজ থেকে ২০১৭-২০১৮ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র হিসেবে এলএলবি পরীক্ষা দিয়েছিলেন। গত ০৪ জুন বৃহস্পতিবার এলএলবি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়।
এলএলবি পরীক্ষার প্রকাশিত ফলাফলের ব্যাপারে শাহাদাত হোসেন বলেন, অনেক সমস্যা, প্রতিক‚লতা ও কর্মব্যস্ততার মাঝে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিলাম, পরীক্ষায় কৃতকার্য হবার জন্য যতটুকু অধ্যয়ন করার প্রয়োজন তার কিছুই করতে পারি নি। ভেবেছিলাম অকৃতকার্য হবো কিন্তু আল্লাহ’র অশেষ মেহেরবানীতে ভালোভাবেই কৃতকার্য হয়েছি। এজন্য আল্লাহ তায়ালার কাছে লাখো কোটি শুকরিয়া (আলহামদু লিল্লাহ)। আমার ফলাফলে আমি ভীষণ খুশি। বলা চলে জীবনের আরেকটি স্বপ্ন পূরণের পথে এগিয়ে চলছি।
তিনি বলেন, আমার চেষ্টার পাশাপাশি আমার মা-বাবা’র দোয়া এবং আমার সহধর্মিনীর সহযোগিতা, ভালোবাসা আর প্রতিনিয়ত দেয়া সাহস ও অনুপ্রেরণা সঙ্গে ছিলো বলেই আমি সফল হতে পেরেছি। আমি একজন সফল আইনজীবী হওয়ার স্বপ্ন দেখছি। এবং আজ সেই সফলতার পথের প্রথম ধাপ সম্পন্ন করলাম।
তিনি আরো বলেন, আমি কৃতজ্ঞতার সাথে ধন্যবাদ জানাই আমার পত্রিকার সম্পাদক আলহাজ্ব শহীদুল ইসলাম পাইলট’কে। তিনি আমার পত্রিকার সম্পাদক হয়েও নিজ ছোট ভাইয়ের নজরে দেখে আমাকে অফিসের কাজের পাশাপাশি বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে যতটুকু সম্ভব লেখাপড়ার জন্যে সুযোগ করে দিয়েছিলেন।
এছাড়াও আমি মাদারীপুর বঙ্গবন্ধু ল’ কলেজের সম্মানিত অধ্যক্ষ এ.বি.এম নজরুল ইসলাম মিনা সহ সকল শিক্ষকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। তাদের গাইডলাইন আমাকে ভালো ফলাফল পেতে সাহায্য করেছে।
সেই সাথে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি শরীয়তপুর সদর উপজেলার চন্দ্রপুর এ,এইচ,পি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মেহেদী রহমান মিজান ভাইকে। তিনিও আমাকে বিভিন্ন দিক থেকে বিভিন্নভাবে এলএলবি সম্পন্ন করার ব্যাপারে সহযোগিতা করেছেন।
ভবিষ্যতে আমি একজন ভালো আইনজীবী হওয়ার স্বপ্ন দেখি। তাই শরীয়তপুরের বিজ্ঞ আইনজীবী, সিনিয়র আইনজীবী, শিক্ষানবিশ আইনজীবীসহ আমার শুভাকাঙ্খী সকলের কাছে আমি সহযোগিতা, দোয়া ও আশীর্বাদ কামনা করছি।
শিক্ষাজীবনে শাহাদাত হোসেন ২০০৪ সালে শরীয়তপুর ইসলামিয়া সিনিয়র ফাযিল মাদরাসা থেকে দাখিল পাশ করেন, পরে শরীয়তপুর সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি, স্নাতক এবং মাদারীপুর সরকারি নাজিম উদ্দিন কলেজ থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন।
শাহাদাত হোসেন একজন সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের সন্তান। পারিবারিক জীবনে তিনি আড়াই বছরের এক কণ্যা সন্তানের পিতা, তার সহধর্মিনী বর্তমানে স্নাতক (পাস) কোর্সের শেষ বর্ষে অধ্যয়নরত আছেন। শাহাদাত হোসেনের বাবা একজন সরকারি চাকরিজীবী ছিলেন, বর্তমানে অবসরে আছেন। মা গৃহিনি। ছয় ভাই-বোনের মধ্যে শাহাদাত হোসেন পঞ্চম।
দৈনিক রুদ্রবার্তা পত্রিকা’র সম্পাদক ও প্রকাশক আলহাজ্ব শহীদুল ইসলাম পাইলট জানান, শাহাদাত হোসেন চাকুরীর পাশাপাশি নিজগুণে লেখাপড়ার উপরে সময় দিয়ে এগিয়ে গিয়েছে এটা আমার জন্য খুবই আনন্দের। প্রত্যেকটা মানুষই তার যে কোন পেশার পাশাপাশি লেখাপড়া করে ডিগ্রী অর্জন করুক। এটা আসলেই খুবই ভালো একটা দিক। আমি আশা করি শাহাদাত হোসেন তাঁর লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবে। এই পর্যন্ত দৈনিক রুদ্রবার্তা সংশ্লিষ্ট যতজনই এখানে কর্মসংস্থানের সুযোগ পেয়েছে সবাইকে আমি লেখাপড়া করার সুযোগ করে দিয়েছি আগামীতেও সুযোগ করে দেবো এই প্রত্যাশাই করছি। দেশের প্রত্যেকটা মানুষই চাকরি বা ব্যবসার পাশাপাশি লেখাপড়া করুক, এটা সকলের জন্যই ভালো। দেশের জন্য মঙ্গল বয়ে আনবে। শিক্ষার বিকল্প নাই পৃথিবীতে।