
শরীয়তপুর সদর উপজেলায় পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রতিপক্ষের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। এ সময় বাধা দিতে আসলে আনোয়ার মাল ও তার দাদি সখিনা বেগম গুরুতর আহত হন। এ ঘটনায় আনোয়ার মাল এর মা আনু বেগম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে সদর উপজেলার পালং ইউনিয়নের বিলাসখান গ্রামে।
মামলা ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ওই গ্রামের লিটন মালের ছেলে আনোয়ার মালের (২০) এর সাথে একই গ্রামের মোঃ আবুল কাশেম (৪৫) গংদের দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক বিরোধ চলছিল। এর জেরে কিছু দিন ধরে মোঃ আবুল কাশেম পক্ষের লোকজন আনোয়ার মাল ও তার পরিবারের লোকজনকে নানাভাবে হুমকি দিয়ে আসছে। এরই প্রেক্ষিতে শুক্রবার দুপুর আড়াইটার দিকে মোঃ আবুল কাশেম বেপারী তার পুত্র সাগর বেপারী(২২) সোলেইমান বেপারী (৩০), স্ত্রী মুকুলি বেগম (৪০), মেয়ে সাথী (২৬) সহ প্রায় ৫ থেকে ৬ জন লোক দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে দলবদ্ধভাবে হামলা, বাড়ি-ঘর ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। এতে তারা আহত হন।
পরে স্থানীয় লোকজন আনোয়ার মাল ও তার দাদিকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করান। তার দাবি সুস্থ হওয়াতে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হয়, আর আনোয়ার গুরুত্বর যখম হওয়াতে তাকে হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় আনোয়ার মাল এর মা আনু বেগম বাদী হয়ে পরের দিন সকালে ৫ জন নামীয় ও ৫ থেকে ৬ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির বিরুদ্ধে পালং মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
মোঃ আবুল কাশেম বেপারীর আপন ভাগিনা মামলার সাক্ষী মোঃ সোবহান পেদা বলেন, সে অন্যায়ভাবে বিভিন্ন মানুষকে মারধর করে থাকে এবং এলাকায় চাঁদাবাজী করে থাকে, চাঁদা দিতে কেউ অস্বীকার করে সে তাকেই মারধর করে। সে অন্যায়ভাবে আনোয়ার মাল ও তার দাদীকে গতকাল মারধর করেছে। তার জন্য আমরা অনেক সালিসি করছি এবং বিভিন্ন সময় মামলায় জেলখাটে তাকে জামিন করতে করতে অতিষ্টি হয়ে গেছি, আমরা এখন বলছি আমরা জনগণের সাথে আছি, ন্যায়ের পক্ষে আছি। আমরা চাই অন্যায়কারী জুলুমবাজ, চাঁদাবাজদের আইনের আওতায় এনে সুষ্ঠ বিচার করা হোক।
অভিযুক্ত মোঃ কাশেম বেপারী বলেন, আমি ঘটনার সাথে জড়িত না, আমি কোন মারামারি করিনি, তার নিজের শরীর নিজে ব্লেট দিয়ে কেটে হাসপাতালে গিয়ে ভর্তি হয়েছে। আর আমার বিরুদ্ধে যে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে এটা মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।
আনু বেগম বলেন, শুক্রবার মোঃ কাশেম বেপারী তার পক্ষের লোকজন নিয়ে আমার বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর চালিয়ে নগদ অর্থসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায়। এ সময় আমি এবং আমার ছেলে বাধা দিলে আমাদেরকে এলোপাথারি মারপিট করে গুরুতর আহত করে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা করায় তারা আমার বাড়িতে গিয়ে আমাকে দেখে নেবে বলেও বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে।
পালং মডেল থানার ওসি আসলাম উদ্দিন বলেন, মামলা হয়েছে, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।