
সারাদেশে চলমান বন্যায় পানির উচ্চতা বৃদ্ধির প্রভাবে সড়ক মহাসড়কের স্থান হয়েছে পানির নিচে। গত দু’দিন যাবৎ পানির উচ্চতা হ্রাসের ফলে দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা ধাক্কা খেয়েছে। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে বন্যাক্রান্ত এলাকার সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা। পানিতে মহাসড়ক ডুবে থাকায় কোনো কোনো অঞ্চলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছে। আবার অনেক জায়গায় পানি নেমে গেলেও চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে ক্ষতিগ্রস্ত মহাসড়ক। আর দুর্গত এলাকার জেলা ও গ্রামীণ সড়কও চলে গেছে বেহাল দশায়। এদিকে শরীয়তপুর জেলার ঢাকা শরীয়তপুর মহাসড়কসহ অন্যান্য শাখা সড়কের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি রুটে যান চলাচল অকেজো হয়ে পড়েছে।
দেশের বন্যাকবলিত এলাকায় সড়কের বিভিন্ন অংশ পানির নিচে বিলীন হয়ে গেছে। কোথাও কোথাও পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে বেরিয়ে আসছে ভাঙাচোরা ক্ষতবিক্ষত সড়ক। অনেক রাস্তা হারিয়েছে চলাচলের উপযোগিতা। গুরুত্বপূর্ণ অনেক সড়কের বিভিন্ন পয়েন্ট ভেঙে যাওয়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে অসংখ্য মানুষ। এ কারণে অনেক এলাকায় খাদ্য পণ্যসহ নিত্য-প্রয়োজনীয় বিভিন্ন পণ্য পরিবহন ব্যাহত হচ্ছে। সরজমিনে দেখা যায়, জনদুর্ভোগের বাস্তবচিত্র।
সিএনজি চালক মো. কালাম বলেন, এক দিকে মহামারী করোনা ভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতি অন্যদিকে বন্যার আক্রমণ। এ যেন, জলে কুমির ডাঙ্গায় বাঘ। এ পরিস্থিতিতে আমাদের মতো সাধারণ গাড়ি চালকদের অসহায় পরিস্থিতির ফল ভোগ করতে হচ্ছে। পাশাপাশি যা একটু উপার্জনের সময় থাকে তাও আবার সড়কপথ পরিবেশের প্রতিকুলে। আমরা এখন ঝুঁকি নিয়েই গাড়ি চালাতে হচ্ছে।
এমন পরিস্থিতিতে সকল যানবাহন চালক ও সাধারণ মানুষের একটিই দাবি, যেন অতিদ্রুত সড়কপথ মেরামত করা হয়। মেরামতের জন্য একটি নিরাপদ সড়কে রুপান্তর হয়। এছাড়া এ পরিস্থিতিতে জনপ্রতিনিধিদের বিষয়টি অবগত থাকা প্রয়োজন এমনটিই মনে করেণ সাধারণ মানুষ।