
শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলার শিধলকুড়া ইউনিয়ন পরিষদের ঝুঁকিপূর্ণ জরাজীর্ণ ভবনের মধ্যেই যাবতীয় দাপ্তরিক কার্যক্রম চলছে।
ইউনিয়ন পরিষদ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১৯৭২ সালে ৫ শতাংশ জমির উপর শিধলকুড়া ইউনিয়ন পরিষদ ভবন নির্মাণ করা হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় কয়েকজন মুরব্বি অভিযোগ করে বলেন, ভবনটি নিম্নমানের কাজ এবং সঠিক তদারকির অভাবে ঠিকাদার ঠিকমতো কাজ করেনি। বর্তমানে মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে জরাজীর্ণ ভবনটির মধ্যেই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্যসহ ১৭ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।
বুধবার ২ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টায় সরজমিনে ঘুরে দেখা যায়, ভবনের দেয়াল জুড়ে ফাঁটল দেখা দিয়েছে। সংস্কারের অভাবে ভবনের ছাদ ধসে পড়ছে। বৃষ্টির সময় ছাদ থেকে পানি পড়ে। ফলে অফিসের ভিতরে পানি ঢুকে আসবাবপত্র নষ্ট হচ্ছে। ঝড় বৃষ্টির সময় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জন প্রতিনিধিরা কাজ করেন।
ভুক্তভোগীরা জানান, দীর্ঘ দিন ভবন মেরামত না করায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। শিধলকুড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জানে আমল খোকন মাদবর বলেন, আমাদের এই ভবনটি অনেক আগে থেকেই ঝুঁকিপূর্ণ। কয়েক বার নিজস্ব অর্থায়নে এ ভবন মেরামত করে অফিস কার্যক্রম চালাচ্ছি। কিন্তু বর্তমানে ভবনটি এতোটাই ঝুঁকিপূর্ণ হয়েছে। এটা যে কোন সময় ধ্বসে পড়তে পারে। তাই আমি আপনাদের মাধ্যমে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। যাতে জরুরি ভিত্তিতে শিধলকুড়া ইউনিয়ন পরিষদের জন্য একটি নতুন ভবন নির্মাণ করা হয়।
এ বিষয়ে ডামুড্যা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মর্তুজা আল মুঈদ জানান, শিধলকুড়া ইউনিয়ন পরিষদের জন্য নতুন ভবন সিডিউলে অন্তর্ভুক্ত আছে এবং তা নির্মাণ করার কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা থাকলেও করোনা পরিস্থিতির কারণে তা শুরু করা যাচ্ছে না। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে অতি দ্রুত কার্যক্রম শুরু করা হবে।