
ফ্রান্সে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় বিশ্বনবী মুহাম্মদ (স.) এর অবমাননা ও ব্যাঙ্গচিত্র প্রদর্শণের প্রতিবাদে ফ্রান্স সরকারকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে, সকল পণ্য বর্জন, কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্নের দাবি জানিয়েছে শরীয়তপুর উলামা পরিষদ।
সংগঠনটির নেতারা বলছেন, এই ঘটনা মুসলিম উম্মাহর হৃদয়ে রক্তক্ষরণ ঘটিয়েছে। এমন জঘন্যতম অন্যায় কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না।
ফ্রান্সে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় বিশ্বনবী (সা.)-এর ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শণের প্রতিবাদে বুধবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে শরীয়তপুর শহরের পালং উত্তর বাজার থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শরীয়তপুর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্ত্বরে গিয়ে সমাবেশে মিলিত হয়।
সমাবেশে বক্তারা তাদের বক্তব্যে বলেন, ফ্রান্সে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় বিশ্ব মানবতার শান্তির দূত, মানবতার নবী, সকল মুসলমানদের প্রিয় বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শণ করে বিশ্বের ২০০ কোটি মুসলমানের কলিজায় আঘাত হেনেছে। মুসলিম উম্মাহর হৃদয়ে রক্তক্ষরণ ঘটিয়েছে। এ মুহুর্তে বিন্দুমাত্র ঈমান থাকলে কোন মুসলমান চুপ করে বসে থাকতে পারে না। বাকস্বাধীনতার নামে এমন জঘন্যতম অন্যায় কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না।
তারা বলেন, বিশ্বনবীর অবমাননার ঘটনা অসভ্যতাকেও হার মানিয়েছে। ফ্রান্স সরকারকে এর চরম মূল্য দিতে হবে।
তারা আরও বলেন, এ ঘটনায় ফ্রান্সের সকল পণ্য বর্জন করতে হবে। ফ্রান্স সরকারকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত ক্ষমা না চাইবে ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলতে থাকবে। আমরা সরকারের কাছে আবেদন করছি সরকার যেন অনতিবিলম্বে সংসদে নিন্দা প্রস্তাব পাশ করে ফ্রান্স সরকারের সাথে সকল ধরণের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেন।
এ সময় মাওলানা ইদরীস কাসেমী, মাওলানা মুঈনুদ্দীন কাশেমীর পরিচালনায় সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, শরীয়তপুর উলামা পরিষদের উপদেষ্টা সদস্য মাওলানা আ: বাতেন ফরিদী, হাফেজ মাওলানা শওকত আলী, মাওলানা জিয়াউল হক কাসেমী, মাওলানা জালাল উদ্দীন আহমদ, হাফেজ কেরামত আলী, সহসভাপতি মাওলানা আবু বকর, মাওলানা সাব্বির আহমদ উসমানী, মাওলানা শহিদুল্লাহ খন্দকার, মুফতী আব্দুর রাজ্জাক, মাওলানা নাফিছুর রহমান নেকীর, সহ সাধারণ সম্পাদক মাওলানা নাঈম আব্বাসী, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মাহদী হাসান সিরাজী, মুফতি তোফায়েল আহমদ, মুফতী ফেরদাউস আহমদ, মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, মাওলানা কবীর আহমাদ ফরিদী, মাওলানা ফারুকুল ইসলাম, মাওলানা আবু বকর খান সর্বোস্তরের জনসাধারণ উপস্থিত ছিলেন।