
ফ্রান্সে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় বিশ্বনবী মুহাম্মদ (স.) এর অবমাননা ও ব্যাঙ্গচিত্র প্রদর্শনের প্রতিবাদে ফ্রান্স সরকারকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে, সকল পণ্য বর্জন, কূটনীতিক সম্পর্ক ছিন্নের দাবি জানিয়েছে শরীয়তপুর সদর উপজেলার রুদ্রকর ইউনিয়নের তৌহিদী জনতা।
বিশ্বনবী মুহাম্মদ (স.) এর অবমাননা ও ব্যাঙ্গচিত্র প্রদর্শনের প্রতিবাদে শুক্রবার (৬ নভেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে জুমআর নামাজের পর শরীয়তপুর সদরের রুদ্রকর ইউনিয়নের শরীয়তপুর-চাঁদপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের বালার বাজার থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে হুগলি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে গিয়ে শেষ হয়। পরে সমাবেশে মিলিত হয়।
সমাবেশে বক্তব্যে হাফেজ মাওলানা মোজাম্মেল হক শরীয়তপুরী বলেন, ফ্রান্সে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় বিশ্ব মানবতার শান্তির দূত হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন করে বিশ্বের ২০০ কোটি মুসলমানের কলিজায় আঘাত হেনেছে। মুসলিম উম্মাহর হৃদয়ে রক্তক্ষরণ ঘটিয়েছে। বিন্দুমাত্র ঈমান থাকলে কোনো মুসলমান এ ঘটনায় চুপ করে বসে থাকতে পারে না। বাকস্বাধীনতার নামে এমন জঘন্যতম অন্যায় মেনে নেয়া যায় না। বিশ্বনবীর অবমাননার ঘটনা অসভ্যতাকেও হার মানিয়েছে। ফ্রান্স সরকারকে এর চরম মূল্য দিতে হবে। প্রকাশ্যে তাদের ক্ষমা চাইতে হবে। এ ঘটনায় ফ্রান্সের সকল পণ্য বর্জন করতে হবে। ফ্রান্স সরকারকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত ক্ষমা না চাইবে ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলতে থাকবে। আমরা সরকারের কাছে আবেদন করছি সরকার যেন অবিলম্বে সংসদে নিন্দা প্রস্তাব পাশ করে ফ্রান্স সরকারের সঙ্গে সব ধরনের কূটনীতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে।
এ সময় বক্তব্য রাখেন, মাওলানা আব্দুর রব আশ্রাফী, হাফেজ মাসুদুর রহমান, হাফেজ মজিবুর রহমান, হাফেজ মোহাম্মাদ ক্বারী আব্দুল আলীম, হাফেজ মোহাম্মাদ আশরাফুল ইসলাম সাদী, হাফেজ মোহাম্মাদ মোতালেব, হাফেজ ইমাম হোসেন খান, হাফেজ মোহাম্মাদ ইয়াসিন শেখ, সাংবাদিক শেখ খলিলুর রহমান প্রমূখ।