
সখিপুরে চরসেনসাস ইউনিয়নে মা মুনসুরত বেগম (৭৪)কে সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করার পায়তারায় নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বার হানিফ দেওয়ান(৩৩) ও তার স্ত্রী ওসিয়া সরদার(৩০) এর বিরুদ্ধে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের মল্লিক কান্দি গ্রামের বাসিন্ধা নুরুমিয়া দেওয়ান। ৬ ছেলে ১ মেয়ে ও মুনসুরত বেগমকে নিয়ে তার পরিবার। তার চতুর্থ ছেলে হলেন হানিফ মেম্বার। স্বামী স্ত্রী ও ভাই-বোন মিলে মধুর সম্পর্কেই চলে তাদের দিনকাল। তবে মাঝে মধ্যে তাদের এই সম্পর্কে ফাটল দেখা দেয়। এসব নিয়ে মামলায় হানিফ মেম্বারের মা মুনসুরতের প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করা ও মামলা দিয়ে হয়রানি ও নির্যাতনের ঘটনাই বেশি দেখা যাচ্ছে।
মুনসুরত বেগম বলেন, আমার স্বামী আমার কোন খোঁজ খবর নেয় না। আমি বৃদ্ধ মানুষ। আমার ৪ ছেলে আমাকে খোঁজ খবর রাখে। কিন্তু আমার চতুর্থ ছেলে হানিফ মেম্বারকে অনেক কষ্ট করে লেখা পড়া করালেও এখন সে মেম্বার হয়ে আমাকে অমানবিক নির্যাতন করে ও আমাকে আমার চার ছেলেকে সম্পত্তির ভাগ থেকে বঞ্চিত করতে চায়। আমার অন্যান্য ছেলেদের পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে নেয়। হানিফ আমাকে সহ আমার অন্যান্য ছেলেদের মাঝেমাঝেই মারধর করে।
মেম্বারের বোন নুরজাহান বলেন, গত ৪ তারিখে আমি বেড়াতে আসছি আমাদের বাড়ি। দেখি আমাদের ঘরে অন্য এক মহিলাকে নিয়ে থাকে আমার বাবা। আমার মাকে ঘর থেকে মারধর করে বের করে দেয়। আমাকে আমার বাবা ও মেম্বার হানিফ এবং আমার ভাবি ওসিয়া বেগম লাঠি সোটা নিয়ে মারধর করে। আমার মাথায় আঘাত লাগলে মাথা ফেঁটে যায়। পরে আমাকে তাতক্ষনিক হাসপাতালে নিয়ে যায়। আমারা এই অত্যাচারের বিচার চাই।
তবে এ ব্যাপার নিয়ে গত ৪ সেপ্টেম্বর থানা ও স্থানীয় একটি সালিশ করা হলে সবার সম্মতিতে চুক্তি নামা করা হয়। তাতে প্রতি মাসে ২ হাজার করে টাকা ও ২ টি বসত ঘর রয়েছে নুরু মিয়া দেওয়ানের। তার একটি ঘরে থাকে হানিফ মেম্বার। তাকে আগামী এক মাসের মধ্য ঘর থেকে বের হয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার দেওয়া থাকলেও মেম্বার হানিফ তা এখনো মেনে নেননি।
এ বিষয় মেম্বার হানিফ জানায়, আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পুর্নই মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন। আমি কখনো এমনটা করি নাই, নির্যাতনও করি নাই আমার মাকে। তবে এ নিয়ে আমি আমার ভাইদেরকে নিয়ে সমাধান করার চেষ্টা করি। তারা আমার কথা শুনে নাই।
চরছেনসাস ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিতু মিয়া বেপারী বলেন, আমরা এ নিয়ে অনেকবার মিমাংশা করার চেষ্টা করেছি। তারা উভয় পক্ষই কথা শোনে না। আমার কাছে আবার আসলে আমি বিষয়টা দেখবো।
সখিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, এ ব্যাপারে আমাদের কাছে ভাই বোনের সাথে মারামরির অভিযোগ আছে। আমরা অভিযোগটি কোর্টে পাঠিয়েছি। শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য ঘটনাস্থলে আমারা পুলিশ পাঠিয়েছি।