
শরীয়তপুরে জমি সংক্রান্ত জেরে শরীয়তপুর পৌরসভার ০৩নং ওয়ার্ডের পশ্চিম কোটাপাড়ার কুদ্দুস বেপারীর স্ত্রী ও সন্তানদের মারধর করার অভিযোগ ওঠেছে।
গতকাল ১৪ নভেম্বর সন্ধা ৬ টার দিকে একই এলাকার কাশেম বেপারীর ছেলে ইদ্রিস বেপারী (৪০), ইদ্রিস বেপারীর ছেলে ফেরদৌস বেপারী(২৬), মেয়ে লামিয়া আক্তার(১৭), স্ত্রী লিলু বেগম(৫০), ফেরদৌস বেপারীর স্ত্রী লাকি বেগম(১৯), পাচু ঢালীর ছেলে কাদির ঢালী(৫৫)-এর বিরুদ্ধে এ অভিযোগ ওঠে।
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, কুদ্দুস বেপারীর পিতা কাশেম বেপারী নাবালককালে কুদ্দুস বেপারীসহ তার আরও দুই ভাই সিরাজ বেপারী, ইদ্রিস বেপারীকে সাব কবলা মুলে ১২ শতাংশ জমি ক্রয় করে দেয়। এ হিসেবে কুদ্দুস বেপারী ৪ শতাংশ জমির মালিক। এ সামান্য জমি থেকে তার অন্যান্য ২ ভাই আব্বাস বেপারী ও বিল্লাল বেপারী ও ২ বোন লিলু বেগম, শাহিদা বেগমকে জমি দেওয়ার পায়তারায় ইদ্রিস বেপারী প্রায়ই অকথ্য ভাষায় কুদ্দুস বেপারী ও তার পরিবারের সাথে গালিগালাজ ও ঝগড়া করতে থাকে। শনিবার ১৪ নভেম্বর সন্ধা ৬ টার দিকে প্রতিদিনের ন্যায় একইভাবে গালিগালাজ ও ঝগড়া করতে থাকে। কুদ্দুস বেপারীর স্ত্রী লাইলী বেগম(৩৫) ও ছেলে জাফর বেপারী (২০) এ অকথ্য ভাষার প্রতিউত্তর করতে গেলে কুদ্দুস বেপারীর স্ত্রী লাইলী বেগম, ছেলে জাফর বেপারী ও মালা আক্তার(১৫)কে এলোপাথাড়ি লাঠিসোটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে আঘাত করলে তারা মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরে স্থানীয়রা তাদের শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে।
পালং মডেল থানা ওসি মো: আসলাম উদ্দিন মোবাইল ফোনে বলেন, আমি সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত থানায় ছিলাম। কুদ্দুস বেপারী নামে কেউ থানায় অভিযোগ করতে আসেনি।