
শরীয়তপুরের বিভিন্ন হাট-বাজারে, পাইকারী ও খুচরা দোকানে নির্ধারিত মূল্যের বেশী দামে সিগারেট বিক্রি হচ্ছে বলে ভোক্তা পর্যায়ে অভিযোগ উঠেছে। খুচরা বিক্রেতা ও ভোক্তাদের মাঝে নিয়মিত তর্কবিতর্ক লেগেই থাকছে। এই নিয়ে খুচরা বিক্রেতা ও ভোক্তাদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সিগারেট কোম্পানীর প্রতিনিধিগণ ও কোম্পানীর উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাগণ এর কোন সঠিক ব্যাখ্যা দিতে পারে নাই। জেলা ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর খুব শীঘ্রই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছেন।
ভোক্তা ও খুচরা বিক্রেতারা অভিযোগের ভিত্তিতে বাজার ঘুরে দেখা গেছে, শরীয়তপুরে বিভিন্ন বাজারে খুচরা পর্যায়ে ১০ শলাকার শেখ সিগারেট ৩৯ টাকা ও ১০ শালাকার নেভী সিগারেট প্যাকেটের গায়ে ৬৩ টাকা মূল্য নির্ধারণ করা রয়েছে। ভোক্তা পর্যায়ে সেই শেখ সিগারেটের প্যাকেট বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা। নেভী সিগারেটের গায়ে ৬৩ টাকা খুচরা মূল্য দেয়া থাকলেও তা বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা।
কোর্ট এলাকার খুচরা বিক্রেতা হযরত আলী ও চৌরঙ্গী এলাকর মোহাম্মদ আলী বলেন, শেখ সিগারেটের প্যাকেটের গায়ে ৩৭ টাকা খুচরা মূল্য দেয়া আছে কিন্তু কোম্পানীর লোক সেই সিগারেট আমাদের কাছে পাইকারী বিক্রি করে ৩৯ টাকায়। আমরা ৪৫ টাকা থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি করি। নেভীর গায়ে খুচরা মূল্য ৬৩ টাকা লেখা রয়েছে আর তা ৬৩ টাকায় পাইকারী কিনে ৭০ টাকায় বিক্রি করি। অনেক সময় ক্রেতার সাথে আমাদের তর্ক-বিতর্ক হয়। কোম্পানীর লোকের কাছে জানাই। তারা আমাদের কথা পাত্তা দেয় না। এর বেশী কিছু বললে আমাদের সিগারেট দেয় না। তখন ঝামেলায় পড়ি। তাই কোম্পানীর লোকদের কথা মতোই বিক্রি করি। আমাদের কাছে কোম্পানীর পাকা রশিদ আছে।
ভোক্তা মন্টু, ইদ্রিস ও আসান সরদার বলেন, সিগারেটের প্যাকেটের গাদে দেয়া মূল্যের চাইতে অনেক বেশী দামে তাদের সিগারেট কিনতে হয়। দোকানদারের সাথে তর্ক করে কোন ফলাফল হয় না। আমরা এই অনিয়মের একটা সমাধান চাই।
এই বিষয়ে জানতে জাপান টোব্যাকো ইন্টারন্যাশনাল গ্রুপ অফ কোম্পানির মিডিয়া সেল থেকে মৌ জানায় বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। নির্ধারিত মূল্যের অধিক মূল্যে পণ্য বিক্রয়ের কোন সুযোগ নাই। কর্তৃপক্ষ তদন্ত করে অনিয়মকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
এ বিষয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অফিসের জেলা কর্মকর্তা সুজন কাজী বলেন, প্যাকেটের গায়ে দেয়া মূল্যের চাইতে বেশী মূল্য নেয়ার কোন সুযোগ নাই। তবুও জাপান টোব্যাকো গ্রুপ কোম্পানীর নীতিনির্ধারকদের সাথে ফোনে কথা হয়েছে। তাদের সিদ্ধান্ত জানানোর কথা ছিল। এখন পর্যন্ত কিছুই জানানো হয় নাই। আমার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ করে খুব শীর্ঘই ব্যবস্থা গ্রহণ করব।