
শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার ছয়গাঁও ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডে ফসলি জমিতে অবাধে চলছে মাছের ঘের তৈরির কাজ। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ৪-৫ টি ভেকু মেশিন দিয়ে বিশাল এরিয়া নিয়ে, সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে এই অনিয়ম কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল। ভেদরগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, একটি পৌরসভা ও ১৩ টি ইউনিয়ন রয়েছে। বর্তমানে ১৮ হাজার ৪ শত ৩৯ হেক্টর আবাদী জমি এবং সাড়ে ৪ শত হেক্টর জলাভূমি ও নদ-নদী রয়েছে। বিভিন্ন গ্রামের কৃষকরা অতি মুনাফার লোভে পরে (ভেকু) মেশিন দিয়ে আবাদী জমি খ্ুঁড়ে মাছের ঘের তৈরি করছেন। এতে একদিকে যেমন জমির উর্বরতা শক্তি হ্রাস পাচ্ছে, তেমন অন্যদিকে ফসলি জমির পরিমাণ প্রতিবছর কমছে। এছাড়াও উঁচু জমি গর্তে পরিণত হওয়ায় সেচ কাজে ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক কৃষক জানান, ভেদরগঞ্জ উপজেলার ছয়গাঁও ইউনিয়নের ভেকু সম্রাট রুহুল আমিন মেম্বার প্রতিবছর এভাবেই সাধারণ কৃষক ও জমির মালিকদের বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে আমাদের আবাদী জমি সবই শেষ করে ফেলছেন। এভাবে চলতে থাকলে আগামীতে আমাদের ধান রোপন করার মতো আর হয়তো কোনো জমি থাকবে না। এ বিষয়ে রুহুল আমিন মেম্বার এর মুঠোফোনে একাধিক বার কথা বলার চেষ্টা করলেও তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি।
এ প্রসঙ্গে ভেদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর-আল-নাসীফ বলেন, আমরা ২ সপ্তাহ আগেও মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জরিমানা করেছি। এখন শোনলাম আবার চলছে, তাই আমি ঘটনাস্থলে এসিল্যাণ্ডকে পাঠাচ্ছি।