
ইটপাটকেল মেরে ভোটকেন্দ্র দখল, গোলাগুলি, জাল ভোট দেওয়াসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে শরীয়তপুরের ডামুড্যা পৌরসভায় দুটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে।
রোববার (১৪ জানুয়ারি) দুপুর আড়াইটার দিকে ঠেংগার বাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কুলকুড়ি মজিদ মাদবরের বাড়ি ফোরকানিয়া মাদরাসা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়। সকাল আটটা থেকে এ পৌরসভায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। শেষ হয় বিকেল ৪ টায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুপুর সোয়া ২ টার দিকে কুলকুড়ি মজিদ মাদবরের বাড়ি ফোরকানিয়া মাদরাসা ভোট কেন্দ্রে প্রথমে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে আওয়ামী লীগের প্রার্থী (নৌকা) মাস্টার কামাল উদ্দিন আহমেদের সমর্থকরা। পরে ভোট কেন্দ্র দখল নেন তারা। ব্যালট ছিনতাইয়েরও ঘটনা ঘটে। এ সময় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী (জগ) মো. রেজাউল করিম রাজা ছৈয়ালের সমর্থকরা তাদের বাধা দেন।
ঘটনার সময় কুলকুড়ি মজিদ মাদবরের বাড়ি ফোরকানিয়া মাদরাসা কেন্দ্রের মধ্যে আটজন সাংবাদিক আটকা পড়েন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছোড়ে। প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পরিস্থিতির কথা জানালে পুলিশ, বিজিবি, র্যাবসহ অতিরিক্ত পুলিশ কেন্দ্রে আসে। পরে ওই কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী (মোবাইল ফোন) আলমগীর মাদবর কারচুপির অভিযোগ এনে ভোট বর্জন করেন।
এর আগে দুপুর ১ টার দিকে ঠেংগার বাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট দেয়াকে কেন্দ্র করে দুই সাধারণ কাউন্সিল লোকমান হোসেন (উটপাখি) ও শাহ আলী গোলদার বাদল (পাঞ্জাবি) প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু হয়। এ সময় অন্তত তিনজন আহত হন। ঘটনার সময় আশেপাশের নারীরা ঝাড়ু নিয়ে বের হয়। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সঙ্গে সঙ্গে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা এই কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করেন।
ডামুড্যা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এইচএম গোলাম মোস্তফা জানান, দুটি কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হওয়ায় ভোটগ্রহণ সম্ভব হয়নি। তাই কেন্দ্র দুটিতে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়।
জানা যায়, চতুর্থ ধাপে অনুষ্ঠেয় পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে চারজন, সংরক্ষিত ওয়ার্ডে নারী কাউন্সিলর পদে ৯ জন ও সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৩০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।