নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কিরের খুনিদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম (বিএমএসএফ) আন্দোলন চালিয়ে যাবে বলে ঘোষনা দিয়েছেন বিএমএসএফ’র কেন্দ্রীয় সভাপতি সাংবাদিক শহীদুল ইসলাম পাইলট।
মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারী) বেলা ১১টায় শরীয়তপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্ত্বরে আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এ ঘোষনা দেন।
সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কিরের খুনিদের বিচার দাবিতে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদি ফোরাম (বিএমএসএফ) শরীয়তপুর জেলা শাখা এই মানববন্ধন কর্মসুচির আয়োজন করে।
শহীদুল ইসলাম পাইলট বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে সাংবাদিকরা মানুষের অধিকার নিয়ে কাজ করলেও সাংবাদিকদের অধিকার নিয়ে এখনো পর্যন্ত কেউ পূর্ণাঙ্গভাবে চিন্তা করেনি। তাই সাংবাদিকরা বিভিন্নভাবে নির্যাতিত হচ্ছেন, কেউ হত্যার শিকার হচ্ছেন। সাংবাদিকদের লেখনির মাধ্যমে সকল মানুষ ন্যায় বিচার পেলেও সাংবাদিকরা নিজেরা নিজেদের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, সাংবাদিকদের অধিকার আদায়ের জন্য, ন্যায় বিচার পাওয়ার জন্য কঠোর কর্মসূচির ডাক দিতে হবে। সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কিরের খুনিদের বিচারের না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম (বিএমএসএফ) আন্দোলন চালিয়ে যাবে। এসম তিনি সাংবাদিকদের ঐক্য গড়ে তোলার আহবান জানান।
বিএমএসএফ’র জেলা আহবায়ক আনিছুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব খোরশেদ আলম বাবুলের সঞ্চালনায় মানববন্ধমে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও পিপি এডভোকেট মির্জা হযরত আলী, সাংবাদিক জামাল মল্লিক, শহীদুল ইসলাম রানা, এম এ ওয়াদুদ মিয়া, মহাসিন রেজা, আব্দুল বারেক ভূইঁয়া, ফারুক হোসেন, বেলাল হোসাইন, মিজানুর রহমান, এসএম স্বাধীন, মেহেদী, মনিরুজ্জামান খোকন, নাসির হোসেন, শাহাদাত হোসেন হিরো, সমীর চন্দ্র শীল, ফারুক আহমেদ মোল্লা, আমান আহমেদ সজিব, শাহীন আলম, রুহুল আমিন ও সাদ্দাম হোসেন প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলর চাপরাশিরহাট স্থানীয় আওয়ামীলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষকালে অস্ত্র ব্যবহারের ভিডিওধারণ করছিলেন স্থানীয় সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির। ক্ষিপ্ত হয়ে একটি পক্ষের সন্ত্রাসীরা তাকে ধরে নিয়ে ভিডিও ডিলেট করতে চাপ প্রয়োগ করে। এ সময় বাঁচাও বাঁচাও করে আকুঁতি করলেও কেউ তাকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসেনি। ভিডিও ডিলেটে অসম্মতি জানালে তাকে গুলি করা হয়। তিনদিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে গত ২১ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি মারা যান।