Tuesday 1st July 2025
Tuesday 1st July 2025

শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে স্বাস্থ্যবিধিসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রচারণা

শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে স্বাস্থ্যবিধিসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রচারণা

স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি সেক্টর কর্মসূচির (এইচপিএনএসপি) আওতায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যুরোর লাইফস্টাইল, হেলথ এন্ড প্রমোশন কার্যক্রমের স্বাস্থ্য শিক্ষা সেবা প্যাকেজের আওতায় কোভিড-১৯ রোধে সাধারণ মানুষকে সচেতন করার লক্ষ্যে লোকগান, নাটিকা, বিজ্ঞাপন, ক্যারাভান ও স্বাস্থ্যবিধিসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রচারণা করা হয়েছে।

শুক্রবার (১৮ জুন) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল চত্বরে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।

এ সময় সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা: তোফায়েল আহম্মদ, এশিয়াটিক ইভেন ম্যানেজম্যান্ট লিমিটেড এজেন্সির মনিটরিং সুপার ভাইজার শরিফুল ইসলাম, সহকারী মনিটরিং সুপার ভাইজার নিশান মাহমুদ প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

শরিফুল ইসলাম জানান, কোভিড-১৯ ভাইরাসের কারণে পুরো বিশ্ব আজ বিপর্যস্ত। স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি সেক্টর কর্মসূচির (এইচপিএনএসপি) আওতায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরাধীন স্বাস্থ্যশিক্ষা ব্যুরো’র লাইফষ্টাইল, হেলথ এন্ড প্রমোশন কার্যক্রমের আওতায় স্বাস্থ্য শিক্ষা সেবা প্যাকেজ দেশব্যাপী করোনা মহামারীর বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এরই অংশ হিসাবে জনসচেতনতামূলক লোকগান, নাটিকা এবং স্বাস্থ্যবিধিসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রদর্শনী ভিত্তিক প্রচারণা কার্যক্রম দেশব্যাপী পরিচালিত হচ্ছে। দেশের সকল পর্যায়ে সাধারণ মানুষের এই করোনা মহামারীর সংক্রমণ থেকে নিজের সুরক্ষাসহ পরিবার, স্বজন তথা সকলের জীবন রক্ষার্থে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কোন বিকল্প নাই।

তিনি জানান, ২০২০ সালে বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী সনাক্ত হওয়ার পর থেকে বর্তমান সরকার দেশের মানুষকে এই মহামারির সংক্রান্ত থেকে রক্ষার্থে স্বাস্থ্য সেবার পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য লকডাউন ঘোষণাসহ বিভিন্ন সচেতনতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। যার ফলে বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের সার্বিক করোনা পরিস্থিতি অনেকটা স্থিতিশীল রয়েছে। এই মহামারি প্রতিরোধে মাস্ক পরা, কিছুক্ষণ পর পর সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, ভীড় এড়িয়ে চলা, ন্যুনতম তিন ফুট সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখা এবং করোমা শনাক্ত রোগীদের কোয়ারান্টাইনসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় জনসচেতনতামূলক নানাবিধ কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

তিনি আরও জানান, ‘মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধির উপদেশ, তবেই করোনামুক্ত হবে বাংলাদেশ’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে দেশের ৬৪ জেলার ১২৮টি উপজেলার সাধারণ মানুষকে সচেতন করার লক্ষে লোকগান, নাটিকা, বিজ্ঞাপন ও ক্যারাভান প্রদর্শনীসহ প্রচারণামূলক কার্যক্রম চলছে।