Tuesday 1st July 2025
Tuesday 1st July 2025
করোনা সংক্রমন বৃদ্ধি

মুন্সিগঞ্জ লকডাউনে শরীয়তপুর-মাওয়া নদী পথের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

মুন্সিগঞ্জ লকডাউনে শরীয়তপুর-মাওয়া নদী পথের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

দেশে করোনা সংক্রমন বৃদ্ধি পাওয়ায় মুন্সিগঞ্জ লকডাউনে নৌযান চলাচল নিষদ্ধাজ্ঞার ফলে শরীয়তপুর-মাওয়া নদী পথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পরেছে। সরকারী নির্দেশনা অনুযায়ী মঙ্গলবার (২২ জুন) সকাল ৬টা থেকে ৩০ জুন মধ্য রাত পর্যন্ত শরীয়তপুরের মাঝিরঘাটের সাথে শিমুলিয়ার সকল ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ। সোমবার (২১ জুন) বিআইডব্লিউটিএ এর নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিচালক মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এই জরুরী বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। বিষয়টি নিশ্চত করেছেন শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক মোঃ পারভেজ হাসান।

মাঝিরঘাট কর্তৃপক্ষ জানায়, প্রতিদিন মাঝিরঘাট নৌরুট ব্যবহার করে পদ্মা পার হয়ে রাজধানী ঢাকার সাথে যাতায়াত করে প্রায় ১০ হাজার মানুষ। যাত্রী পারাপারের জন্য ঘাটটিতে রয়েছে ২০টি লঞ্চ, ৪০টি স্পীডবোট ও অর্ধ শতাধিক ইঞ্জিন চালিত নৌকা। সরকারী নির্দেশনা অনুযায়ী মঙ্গলবার সকাল থেকে বন্ধ রয়েছে মাঝিরঘাটের সাথে শিমুলিয়ার সকল ধরনের নৌযান চলাচল। ঘাটে নোঙর করে রাখা হয়েছে লঞ্চ, স্পীডবোট ও ইঞ্জিন চালিত বিভিন্ন নৌযান। সরকারী নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য কঠোর অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। মাঝিরঘাট এলাকায় জাজিরা থানা পুলিশের পাশাপাশি কাজ করছে নৌ-পুলিশ সদস্যরা। সকাল থেকে অনেককেই দেখা গেছে পদ্মা পারাপার হতে এসে নৌযান বন্ধ থাকায় নদী পার না হতে পেরে ফিরে যেতে।

মাঝির ঘাটের ইজারাদার মোঃ মোকলেস মাদবর বলেন, সরকারী নির্দেশনা অনুযায়ী সকল নৌযান বন্ধ রাখা হয়েছে। লঞ্চ ও স্পীডবোট নদীর তীড়ে এবং মাঝ নদীতে নোঙর করে রাখা হয়েছে। তবে সরকারী ঘেষনা থাকার পরও অনেক যাত্রী নদী পারাপারের জন্য ঘাটে এসে উপস্থিত হচ্ছেন। তাদের নিয়ন্ত্রন করতে কিছুটা বেগ পেতে হচ্ছে। অনেকে আবার ঘাটের বাইরে গিয়ে ব্যক্তিগত ট্রলার ভাড়া নিয়ে নদী পারাপার হচ্ছেন। এটি বন্ধ করা না গেলে সরকারের লক্ষ উদ্দেশ্য সফল হবেনা।

জাজিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশ্রাফুজ্জামান ভুইয়া বলেন, মাঝির ঘাটের সকল নৌযান বন্ধ রাখার জন্য প্রয়োজনী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ঘাটের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে কাজ করছে পুলিশ ও নৌ-পুলিশ সদস্যরা। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘাট পরিস্থিতি সবসময় মনিটরিং করা হচ্ছে। আইন অমান্য করে কোন নৌযান যাত্রী পরিবহণ করলে সেসব নৌযান ও তার মালিকদেও বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।