Tuesday 1st July 2025
Tuesday 1st July 2025

শরীয়তপুর জেলার সবচেয়ে বড় মনোহর বাজার গো-হাট নতুন রূপে

শরীয়তপুর জেলার সবচেয়ে বড় মনোহর বাজার গো-হাট নতুন রূপে
শরীয়তপুর জেলার সবচেয়ে বড় মনোহর বাজার গো-হাট নতুন রূপে

শরীয়তপুর জেলার সবচেয়ে বড় গো-হাট সদর উপজেলার মনোহর বাজার গো-হাট। আশির দশকের শুরুর দিকে গরু, ছাগল, ভেড়া কেনাবেচা করার জন্য মনোহর বাজার সংলগ্ন ব্যাপক জনপ্রিয় একটি খেলার মাঠ বেছে নেওয়া হয়। সেই থেকে শুরু। ধীরে ধীরে খেলার মাঠে খেলা বন্ধ হয়ে গেল। যা পরিচিতি পায় মনোহর বাজার গো-হাট নামে। পুরো জেলা তো বটেই, আশেপাশের জেলা থেকেও পশু বেচাকেনা করার জন্য ক্রেতা-বিক্রেতারা এখানে আসেন। সপ্তাহের প্রতি সোমবার হাট বসে। প্রতি হাটে প্রায় পাঁচ শতাধিক পশু কেনাবেচা হয়।

সম্প্রতি করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় সরকারের নেওয়া কঠোর লকডাউনের কারণে পশুর খামারিরা অনিশ্চয়তায় পরে যায়। করোনার ভয় উপেক্ষা করেই তারা পশু নিয়ে হাটে আসে। যে কারণে এখানে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করা ছিল স্থানীয় প্রশাসনের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ।

শরীয়তপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনদীপ ঘরাই এর নেতৃত্বে সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, র‌্যাব, আনসার ও রোভার স্কাউটের সমন্বয়ে শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করা হয় আজকের হাটে। পাঁচ শতাধিক পশুর হাটকে দেড়শোতে সীমাবদ্ধ করে বাকিদের অপেক্ষমান তালিকা করে রাখা হয় মাঠের পাশে। হাটে সব প্রবেশপথ বন্ধ রেখে শুধু মাত্র একটি পথ খোলা রাখা হয়। আর ক্রেতারা সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে প্রবেশ করেছেন দশ জন করে। ক্রেতা বিক্রেতারা শতভাগ মাস্ক পরে ছিলেন। এছাড়াও হ্যান্ড স্যানিটাইজারেরও ব্যবস্থা করা হয়। হাটের এমন পরিবেশ পূর্বে কখনোই কেউ দেখেনি।

তবে এতে বেচাকেনা করতে একটু সময় বেশি লাগলেও এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে শরীয়তপুরের সচেতন মহল। গরুর হাটেও য়ে এরকম সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি করা যায় তা ধারণার বাইরে ছিল স্থানীয়দের।

এই সফল কর্মযঞ্জ করার জন্য ইউএনও মনদীপ ঘরাইকে প্রশংসায় ভাসাচ্ছেন নেটিজেনরা। তার করা এ সংক্রান্ত একটি ফেসবুক পোষ্টে নেটিজেনরা তাকে অভিনন্দন জানান।