
একদিকে তীব্র স্রোত, অপরদিকে বাংলাবাজার-শিমুলিয়া রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় শরীয়তপুর-চাঁদপুর ফেরিঘাটে যানবাহন পারাপারে চাপ বেড়েছে। এতে ঘাটের মূল পয়েন্ট থেকে তিন কিলোমিটারজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র যানজটের।
একা ধারে সাতটি ফেরি দিয়ে পরাপার অব্যাহত রাখার পরও পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে ঘাট কর্তৃপক্ষ। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়ছে এ রুটে যাতায়াতকারী যাত্রী ও চালকরা।
বিআইডব্লিউটিসি সূত্র জানান, খুলনা-বরিশাল অঞ্চলের ২১ জেলার শত শত যানবাহন চট্টগ্রাম বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য শরীয়তপুর-চাঁদপুর ফেরীঘাট ব্যবহার করে। এরমধ্যে কিছু যানবাহন আবার শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ঘাট ব্যবহার করতো। কিন্তু সম্প্রতি পদ্মা সেতুর সঙ্গে একাধিকবার ফেরীর ধাক্কার কারণে ওই রুটে ফেরী চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। ফলে ওই যানবাহনগুলো শরীয়তপুর-চাঁদপুর ঘাট ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছে।
সরেজমিন নরসিংহপুর ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, ঘাট থেকে খায়েরপট্টি পর্যন্ত সারি সারি ট্রাক দাঁড়িয়ে রয়েছে। পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে দূরপাল্লার অনেক যাত্রীবাহী বাস, কার্গো ও মাইক্রোবাস। নদীতে প্রচণ্ড স্রোতের কারণে ফেরি পারাপার বিলম্বিত হচ্ছে।
পারাপারের অপেক্ষায় থাকা রাসেল নামে এক চালক দৈনিক রুদ্রবার্তাকে জানান, রোববার বিকেলে চট্টগ্রাম যাওয়ার উদেশ্যে তিনি এসেছেন। সামনে অনেক গাড়ি আটকে আছে যানজটে।এখনও পার হতে পারেননি তিনি।
সোহেল মিয়া নামে জানান, জোয়ারের সময় ফেরিতে ওঠার সিঁড়ি তলিয়ে যাওয়ার কারণে অনেক সময় ধরে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকছে। এটি সমাধান করা হলে গাড়ির চাপ অনেকটা কমে যেত।
এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিসির ম্যানেজার আব্দুল মমিন দৈনিক রুদ্রবার্তাকে জানান, এই রুটে সাতটি ফেরি রয়েছে। সেগুলো নিরবচ্ছিন্নভাবে পারাপার করে যাচ্ছে। তীব্র স্রোতের কারণে পারাপার কিছুটা বিলম্বিত হচ্ছে। তা ছাড়া বাংলাবাজার ও শিমুলিয়া রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় এই চাপ সৃষ্টি হয়েছে বলেও জানান তিনি।
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ৪ | |||
৫ | ৬ | ৭ | ৮ | ৯ | ১০ | ১১ |
১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮ |
১৯ | ২০ | ২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ | ২৫ |
২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ | ৩০ | ৩১ |