
শরীয়তপুরে সড়ক রক্ষনাবেক্ষন ও সুর্ন্দয্য বর্ধনের কাজ করছেন সুবীধা বঞ্চিত সাড়ে ৮শ” অধিক নারীরা। আরইএমপি-৩.প্রকল্পে মাধ্যমে এলজিইডি কর্তৃক কাজ করে এখন তারা স্বাবলম্বী হচ্ছেন নারীরা। সাড়া বছর সড়ক গুলো চলাচলের উপযোগী করে রাখছেন এতে গ্রামীন সড়কে যাতায়তকারীরা উপকৃত হচ্ছে।
শরীয়তপুর জেলাসহ ৬টি উপজেলায় প্রায় ৮শ’ ৩১ জন নারী এলসিএস মাধ্যমে কাজ করে এখন লাভবান। এলজিইডি পল্লী কর্মসংস্থান ও সড়ক রক্ষনাবেক্ষন কর্মসূচি আরইআরএমপি-৩. এর আওতায় শরীয়তপুর কর্তৃক সদর উপজেলার হেডকোয়াটার থেকে বুড়িরহাট ভায়া কানার বাজার(টাউন বাইপাশ রোড-সহ) বিভিন্ন উপজেলা গুলোতে মোবাইল মেইনটেইেন্স টিম দ্বারা পাকা সড়কে ছোট ছোট গর্ত,হাফ সোল্ডার মাটিদ্বারা মেরামত ও সড়কের দুপারে ঝোপ জঙ্গল পরিস্কারের প্রতিদিন ৫০ কিলোমিটার সড়ক পরিস্কার কাজ অনায়েসে করছেন এসকল নারী শ্রমিকরা। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কর্মঠ নারীদের মনের আনন্দ, মনোযোগ দিয়ে কাজ করছেন সড়কে- প্রচন্ড রোদ ও হটাৎ বৃষ্টি কখনো কখনো জোপ ঝাপে লুকিয়ে থাকা সাপ বিচ্ছু ভয় নিয়ে বেশ আনন্দে কজ করছেন, যতই কষ্ট হোক তাদের চোখে মোখে এখন উন্নত জীবনের ছোয়া লেগেছে । আগের মত অন্যের লাঞ্চনা আর দুমুঠো ভাতের অভাব, বাড়ি বাড়ি গিয়ে থালা বাসন মাঝা লাগেনা এখন আর। এলজিইডির মাধ্যমে সড়কের ঝোপ ঝাপ পরিষ্কার ও সড়ক মেরামত করে প্রতিদিন ২শত ৫০ টাকা হারে পাচ্ছে তারা। বাড়িতে বসে থাকা নারীরা এখন সকাল হলেই সংসারের সব কাজ শেষ করে ছুটে আসেন এই কর্ম স্থলে। শান্ত পরিবেশে মাথা নুয়ে কাজ করছেন তারা। সারামাসে কাজ করে যে অর্থ এখান থেকে তারা উপার্জন করেন, তা থেকে সংসারের অনেক অভাব দূর হয় নারী শ্রমিকদের এবং ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়া ও সমাজে মাথা উচকের দাড়ি স্বাবলম্বী জীবন জাপন করছেন এসব নারী শ্রমীকরা।
তাদের কাজের গতি দেখে মনে হয়েছে নিজেদের পাশাপাশি দেশকেও এগিয়ে নিয়ে যাবেন তারা। শরীয়তপুরে কল কারখানা ও বড় বড় শিল্প না থাকায় কাজ করার মতো নেই কোনো নারীদের কর্মস্থল। স্থানীয় এলজিইডিতে কাজ করা ম্বামী পরিত্যক্ত বিধাব ও অসহায় নারীরা এখন সংসারের হাল ধরেছেন। দৈনিক মজুরী জন প্রতি ২৫০ টাকা, তার ভিতর থেকে প্রতিদিন নারী শ্রমীক দের ১৭০ টাকা পরিশোধ করা হয় ও ৮০ টাকা সঞ্চয় হিসাবে তাদেও স্ব স্ব একাউন্টে রাখা হয়। এতে তারা আর্থিক ভাবে লাভবান হচ্ছেন এবং স্বচ্ছল জীবন যাপন করতে পারছেন।
বাড়িতে বসে থাকা নারীরা এখন সকাল হলেই সংসারের সব কাজ শেষ করে ছুটে আসেন এই কারখানায়। শান্ত পরিবেশে মাথা নুয়ে কাজ করছেন তারা। সারামাসে কাজ করে যে অর্থ এখান থেকে তারা উপার্জন করেন, তা থেকে সংসারের অনেক অভাব দূর হচ্ছে নারী শ্রমিকদের।
কথা হয় একজন নারী শ্রমিকের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমার স্বামী একজন ভ্যান চালক, তার স্বল্প আয়ে সংসার চালাতে খুব হিমশিম খাচ্ছিলাম। যেদিন থেকে আরইএমপি-৩. প্রকল্পে মাধ্যমে এলজিইডি কর্তৃক কাজে যোগ দিয়েছি, সেদিন থেকে আমার সংসারে আর কোনো অভাব নেই।
শরীয়তপুর জেলা এলজিইডি নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ শাহজান ফরাজী বলেন, জেলায় অতি বৃষ্টির ও জলাবদ্ধতা ও সঠিক তাপমাত্রার না থাকার কারনে সড়কে বিভিন্ন স্থানে গর্ত সৃষ্টি হওয়া আমরা দক্ষতার সাথে মোবাইল মেনটেন্সে দ্বারা তাৎক্ষণিক মেরামত করে থাকি, পাশাপাশি শরীয়তপুরে সড়ক রক্ষনাবেক্ষন ও সুর্ন্দয্য বধ্যনের কাজে, সুবীধা বঞ্চিত সাড়ে ৮শ’ অধিক নারীরা রাস্তার দুই পারে ঝোপ জঙ্গল পরিস্কার করছেন যার সুফল পাচ্ছে যাতায়তকারীয়া এবং নারীশ্রমিকরা এলজিইডির মাধ্যমে কাজ করে যে টাকা পাচ্ছে, তাদিয়ে সুন্দর জীবন জাপন করছেন। ৪ বছরের এই প্রজেক্ট আরইএমপি-৩ প্রকল্পে শরীয়তপুর জেলার ৬৪ টি ইউনিয়নে প্রতিটি ইউনিয়নের ১০ জন করে কাজ করছেন এসকল নারীরা। তিনি আরো বলেন, মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার নারী বান্ধব সরকার তাই নারীদের প্রতি প্রধান মন্ত্রী আলাদা নজর রয়েছে, তিনি এই প্রকল্প অনুমোদন দিয়ে স্থানীয় এলজিইডিকে বাস্তবায়নের জন্য নির্দেশ দেন, সেই মতে আমরা ম্বামী পরিত্যক্ত বিধবা ও অসহায় নারীদের অগ্রধিকার দিয়ে কাজ করার সুযোগ দিচ্ছি। আমাদের এই প্রকল্প চলমান থাকবে।