
সরকারি ডর্মেটরি থাকতেও শরীয়তপুর যুব উন্নয়নের উপ-পরিচালক (ডিডি) একেএম হোসিয়ার ক্ষমতার অপব্যবহার করে ৭ বছর ধরে বিনাভাড়ায় অতিথি কক্ষ ব্যবহার করে আসছেন। অথচ এই অতিথি কক্ষ জেলার বাইরে থেকে আসা সরকারী কর্মকর্তা কর্মচারীদের স্বল্প খরচে বরাদ্দ দেয়ার জন্য তৈরী করা হয়েছে। এতে তিনি ক্ষমতা অপব্যবহারের পাশাপাশি সরকারকে রাজস্ব বঞ্চিত করেছেন।
শরীয়তপুর যুব উন্নয়ন সূত্রে জানাগেছে, ২০১৪ সালের নভেম্বরে উপ-পরিচালক পদে শরীয়তপুর যুব উন্নয়নে যোগদেন একেএম হোসিয়ার। দায়িত্ব বুঝে নেয়ার পর থেকে তিনি অতিথি কক্ষটি নিজের বেড রুম হিসেবে ব্যবহার করে আসছেন। ইতোমধ্যে তিনি কোন ভাড়া পরিশোধ করেননি। অথচ প্রতি দিনের জন্য অতিথি কক্ষের সরকারি ভাড়া নির্ধারণ করা রয়েছে ২৫ টাকা ও সার্ভিস চার্জ ৮ টাকা (সর্বসাকুল্যে ৩৩ টাকা)। হিসেব মতে প্রতি মাসে ৯৯০ টাকা করে ৭ বছরে ৮৩ হাজার ১৬০ টাকা চালানের মাধ্যমে সরকারি কোষাগারে জমা হওয়ার কথা ছিল। এই পর্যন্ত অতিথি কক্ষের ভাড়া বাবদ টাকা জমার কোন রশিদ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পৌঁছেনি। পাশাপাশি তিনি কুক্ষিগত ভাবে সকল ক্ষমতা হাতে রেখে সহকারী পরিচালকসহ সকলকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে আসছেন।
অতিথি কক্ষের দায়িত্বে থাকা ডেপুটি কো-অর্ডিনেটর মো. গিয়াস উদ্দিন সরকার বলেন, যুব ভবনে উপ-পরিচালক, সহকারী পরিচালকসহ সকল কর্মকর্তা কর্মচারীদের জন্য ডর্মেটরি রয়েছে। উপ-পরিচালক যোগদানের পর থেকে অদ্যবধি ডর্মেটরি ব্যবহার না করে অতিথি কক্ষকে নিজের বেডরুম হিসেবে ব্যবহার করে আসছেন। অতিথি কক্ষের ভাড়া পরিশোধ সপক্ষে এই পর্যন্ত কোন প্রমানপত্র আমার কাছে জমা করেননি।
ডর্মেটরিতে নূন্যতম একটি বেড বরাদ্দ নিলেও বাড়ি ভাড়ার ১০ শতাংশ টাকা কর্তন করা হতো। সে ডর্মেটরি বা অতিথি কক্ষ বাবদ কোন টাকা কর্তন করেছেন মর্মে আমার কাছে কোন ডকুমেন্ট নাই।
যুব উন্নয়নে কর্মরত অন্যান্য কর্মচারী ও কর্মকর্তাগণ বলেন, খুব ধ্রুত এই উপ-পরিচালক। তিনি একাই অর্থ সংক্রান্ত সকল কাজ করে কৌশলে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সাক্ষর নিয়ে নেয়। অধিনস্তদের সাথে খুব খারাপ আচরণও করেন তিনি। সুক্ষভাবে মারিং কাটিং এর গুরু এই উপ-পরিচালক।
উপ-পরিচালক একেএম হোসিয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি যোগদানের পর ডর্মেটরিতে না উঠে প্রশাসনিক ভবনের তৃতীয় তলার একটি কক্ষে উঠি। সেখানে ট্রেনিং সেন্টার থেকে চৌকি এনে ব্যবহার করি। এটি অতিথি কক্ষের উপযোগী না বা এখানে কোন আসবাবপত্রও নাই। এক পর্যায়ে অতিথি কক্ষের ভাড়া পরিশোধ করেছেন বলে তিনি দাবী করেন। তবে ভাড়া পরিশোধ সপক্ষে কোন প্রমানপত্র দেখাতে পারেননি তিনি।
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ৪ | |||
৫ | ৬ | ৭ | ৮ | ৯ | ১০ | ১১ |
১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮ |
১৯ | ২০ | ২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ | ২৫ |
২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ | ৩০ | ৩১ |