শরীয়তপুর সদর পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের শান্তিনগর আবাসিক এলাকার ঐতিহ্যবাহী মোল্লা পরিবারের কৃতি সন্তান রাসেল মোল্লা । রাজনৈতিকভাবে তিনি ত্যাগী বিএনপি পরিবারের সন্তান।
স্কুল জীবন থেকেই তিনি ছাত্র রাজনীতির সাথে জড়িত হন এবং ছাত্র সমাজকে নেতৃত্ব দানে অগ্রনী ভূমিকা পালন করেন। বিভন্নসময় তিনি জেলা ছাত্রদলের বিভিন্ন ইউনিটে কঠোরভাবে দায়িত্ব পালন করেন। শরীয়তপুর পৌরসভা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করেন। তার অদম্য নেতৃত্বের গুনাবলীর কারনে তাকে শরীয়তপুর সদর উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। দায়িত্ব পালন কালে তিনি বিভিন্ন সময় আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হন ও অসংখ্য মিথ্যা বানোয়াট মামলার আসামি হন।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি গনতন্ত্রের মহিয়াসী নারী বিএনপি’র চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আওয়ামী আইনে সাজাপ্রাপ্ত হলে শরীয়তপুর থেকে রাসেল মোল্লার নেতৃত্বে ছাত্রদল ব্যাপক প্রতিরোধ গড়ে তোলে। এ সময় রাসেল মোল্লাকে কয়েকটি মিথ্যা মামলার আসামি করা হয়। ২০১৮ সালের ৩০ শে ডিসেম্বর মিডনাইট নির্বাচনের আগে প্রচারনায় শরীয়তপুরের গর্ব মিয়া নুরু উদ্দিন অপু ভাইয়ের উপর আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলায় অপু ভাইকে বাঁচতে গিয়ে আহত হন ও দীর্ঘ দিন অসুস্থ থাকেন রাসেল মোল্লা। তৃনমূলের প্রতিটি কর্মি মনে করেন ভোটার বিহীন সৈরাচারী এই আওয়ামী সন্ত্রাসী সরকারের পতন ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন গতিশীল রাখতে রাজপথের সাহসী সৈনিক রাসেল মোল্লার বিকল্প নেই। তাই তারা আওয়ামী শরীয়তপুর জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক হিসেবে রাসেল মোল্লাকে দেখতে চায়। এ প্রসঙ্গে সাবেক এক সাধারন সম্পাদক বলেনঃ আমরা চাই সাহসী নেতৃত্ব যার হাত ধরে শরীয়তপুর জেলা ছাত্রদল গতিশীল হবে এবং রাজপথের সকল আন্দোলন সংগ্রামে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিবে। শরীয়তপুর জেলা বিএনপির নেতা কর্মিরা মনে করেন দেশে গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় শরীয়তপুর জেলা ছাত্রদলের সাহসী ভূমিকা পালন করার জন্য যোগ্য, সাহসী, ত্যাগী রাজপথের সাহসী সৈনিক রাসেল মোল্লাকে যেন শরীয়তপুর জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক করা হয়।
নিজের সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে রাসেল মোল্লা বলেন, জেল, জুলুম, অত্যাচার-নির্যাতন সহ্য করে সবসময় রাজপথে সক্রিয় থেকেছি। কিভাবে আন্দোলন করতে হয় জানি। আমার রক্তে মিশে আছে বিএনপি, রাজপথ আমার ঠিকানা। ছাত্রদল করতে গিয়ে অসংখ্য মিথ্যা মামলার আসামি হয়েছি। আওয়ামী সন্ত্রাসীদের দ্বারা হামলার স্বীকার হয়েছি। থেমে থাকেনি, থাকবে না দেশে গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও দেশ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত শরীরে শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে রাজপথে থাকবো ইনশা আল্লাহ।