Tuesday 1st July 2025
Tuesday 1st July 2025

কৃষি জমির মাটিকাটা বাধা দেওয়ায় ভূমি কর্মকর্তাকে প্রাননাশের হুমকি

কৃষি জমির মাটিকাটা বাধা দেওয়ায় ভূমি কর্মকর্তাকে প্রাননাশের হুমকি
কৃষি জমির মাটিকাটা বাধা দেওয়ায় ভূমি কর্মকর্তাকে প্রাননাশের হুমকি

ভেকু দিয়ে কৃষি জমির মাটি কাটার বাধা দেওয়ায় শরীয়তপুর সদর উপজেলার তুলাসার ইউনিয়নে দশ রশি নামক স্থানে ইউনিয়নের ভূমি অফিসের উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তা আবুল কাসেমকে লাঞ্ছিত করেছে এমন অভিযোগ উঠেছে ভূমিদস্যু তাজেল ঢালী, রেজাউল গাজী, অপু মগদম, আবু কালাম দেওয়ান ও মকবুল মুন্সি সহ আরো অজ্ঞাত নামা কয়েকজনের বিরুদ্ধে। ওই ঘটনাকে  কেন্দ্র করে ওই ভূমি দস্যুদের বিরুদ্ধে পালং থানা মামলা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভূমি দস্যুরা দীর্ঘদিন যাবৎ তুলাসার ইউনিয়নের দশরশি গ্রামের ইসাহাক সিকদার এর বাড়ির কাছে রাস্তার পূর্ব পাশে ৭০ নং দশরশি মৌজার বিআরএস ১ নং খতিয়ানের ২৭৯ দাগ ১.২৫ একর কৃষি জমি মাটি গভীর রাতে ভেকু দিয়ে অবৈধভাবে গভীর খনন করে ফসলি জমি নষ্ট করে ইটভাটায় মাটি বিক্রি করে আসছে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে গত ২৪ এপ্রিল ২০২২ তারিখে ভূমি কর্মকর্তা আবুল কাশেম, অবৈধভাবে ভেকু দিয়ে মাটি কাটার খবর পেয়ে সরেজমিনে গেলে ভূমিদস্যুরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। কয়েকদিন না যেতেই ভূমিদস্যুরা সরকার কর্তৃক অনুমোদন না থাকা সত্ত্বেও ভূমিদস্যুরা জোরপূর্বক কৃষি জমি নষ্ট করে ইটভাটা মাটি বিক্রি অব্যাহত রাখে। পুনরায় মাটি কাটার বিষয়টি খবর পেয়ে গত ৮ মে ২০২২ সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পায় ফসলি জমি নষ্ট করে ভেকূ  দিয়ে মাটি কাটতে থাকে। ভূমি কর্মকর্তা আবুল কাশেমসহ কয়েকজন মিলে মাটি কাটার বাধা প্রদান করিলে ভূমিদস্যুরা ক্ষিপ্ত হইয়া অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ এবং প্রাণনাশের হুমকি দেয়।

ভূমি কর্মকর্তা আবুল কাশেম দৈনিক রুদ্রবার্তাকে বলেন, ভেকূ  দিয়ে মাটি কাটার বিষয়টি খবর পেয়ে আমরা কয়েকজন মিলে ঘটনাস্থলে যাই এবং বাধা প্রদান করি এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদেরকে অক্ষত ভাষায় গালিগালাজ এবং প্রাণনাশের হুমকি দেয়। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সাথে আলোচনা করে ওই ভূমি দস্যুদের বিরুদ্ধে  পালং থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করি।

পালং থানার অফিসার ইনচার্জ আক্তার হোসেন দৈনিক রুদ্রবার্তাকে জানান, ভূমি কর্মকর্তা আবুল কাশেম কয়েকজনকে আসামি করে  একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে পেনাল কোড ১৮৬০ তৎসহ ২০১০ সালের বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনের ১৫, এর ১৪৩, ১৮৬ ১৮৯ ধারায় মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।