Tuesday 1st July 2025
Tuesday 1st July 2025

সাবেক মেম্বারকে মারধরকে কেন্দ্র করে আ’লীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ, আহত-৩০

সাবেক মেম্বারকে মারধরকে কেন্দ্র করে আ’লীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ, আহত-৩০
সাবেক মেম্বারকে মারধরকে কেন্দ্র করে আ’লীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ, আহত-৩০

শরীয়তপুরের সদর উপজেলার আওয়ামীলীগ নেতা ও সাবেক ইউপি মেম্বারকে মারধর করার জের ধরে আজ ৩১ মে মঙ্গলবার সকালে আওয়ামীলীগের দু-গ্রুপের নেতাকর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এতে দু’জন পুলিশ সদস্যসহ উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন মারাত্নক আহত হয়েছে।

আহতদের শরীয়তপুর সদর হাসপতাল, বিভিন্ন ক্লিনিকে-এর মধ্যে টেটা বৃদ্ধসহ তিনজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ সময় শত শত বোমার বিস্ফোরন,অর্ধ শতাধিক বাড়ী ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাংচুর করে দুর্বৃত্তরা। এ সময় দুটি তাজা বোমা উদ্ধার করেছে পুলিশ। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

বিনোদপুর ইউয়িন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আহত সরোয়ার হোসেন খান, পালং থানা ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, গতকাল রাতে শরীয়তপুর জেলার সদর উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য ও আওয়ামীলীগ নেতা এমদাদ মাদবর গয়াতলা বাজার থেকে বাড়ী ফেরার পথে বিনোদপুর ঢালী কান্দি এলাকায় তার উপর হামলা করে। এতে সে মারাত্নক আহত হয়। তাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। তার জের ধরে আজ মঙ্গলবার সকালে শরীয়তপুর সদর উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের গয়াতলা ঢালীকান্দি ও কাচারিকান্দি এলাকায় সাবেক মেম্বার ও বিনোদপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সদস্য এমদাদ মাদবরের সমর্থকরা রাম দা, ছেন দা, টেটা, বলস্নম ও হাত বোমা নিয়ে বিনোদপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডেও বর্তমান মেম্বার ও সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য কোব্বাছ মাদবরের সমর্থকদের বাড়ী ঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের উপর হামলা করে। এ ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে কোব্বাছ মাদবরের সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। প্রায় দুই ঘন্টা ব্যাপী সংঘর্ষে বোমা ও দেশীয় অস্ত্রে আঘাতে চিকন্দি পুলিশ ফাড়ির এস আই সমেন নাথ বিশ্বাস (৪২), এ এস আই বিশ্বজিৎ (৩৪), স্থানীয় আবু আলেম বয়াতী(৪৫), সরোয়ার খান (৪০), মাহবুব মাদবর (২০), ইলিয়াস মাদবর (২২) স্বপন মাদবর (৩০), নুর নেছা (৪৫), মোস্ত্মাক বেপারী (৪০), মকফর বেপারী (৪৫), মিজানুর রহমান (৩০), জলিল বেপারী (৫৫) দিদার চৌকিদার (৩৪), লিটন মন্সি(৪০), সফি বেপারী (৪৫), করিম মোলস্না (৫০), ওলিউর রহমান(৫৫), হুমায়ুন মোলস্না (৪০), রবিন মিয়া (২০), সায়েদ বেপারী (৪৫), দেলোয়ার বাছার (৫০), আব্দুল হাকিম সহ অন্ত্মত ৩০ জন মারাত্নক আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে টেটা বৃদ্ধ স্বপন, দিদার চৌকিদার সহ ৩ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ সময় সরোয়ার খানের ১০ টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, হায়দার সরদার, ইউনুছ সরদার, হেদায়েদ সরদার, আব্দুর রশিদ বেপারী, নুর নেছা বেগমের, মোস্ত্মাক বেপারী, মকফর বেপারী, জলিল বেপারী, নুর জামান মৃধা, বাবু শেখ, লিটন হাওলাদার, আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, সেকেন্দার হোসেন হাওলাদার, মহিউদ্দিন আকন, শাহ সেকেন্দার আকন, আব্দুর রহিম মাদবর, হালান মাদবর, হাতেম ঢালীর দোকান, লাল মিয়া বেপারীর দোকান ও কোব্বাস মাদবরের ঘর সহ প্রায় অর্ধ শতাধিক বাড়ী ঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক ভাংচুর চালিয়েছে।

এ সময় পরিত্যক্ত অবস্থায় দুটি তাজা হাত বোমা উদ্ধার করেছে। আহত বিনোদপুর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডে মেম্বার লিটন মুন্সি বলেন, গতকাল রাতে সাবেক মেম্বার এমদাদ মাদবরকে কোব্বাছ মাদবরের সমর্থকরা হামলা করে মারাত্নক আহত করে। আজ সকালে তার সমর্থকরা এর প্রতিবাদ করায় সংঘর্ষের সৃস্টি হয়।

দোকান দার আব্দুল হাকিম মাদবর বলেন আজ সকালে পুলিশের উপস্থিতিতে আমাদের দোকান পাটে কোব্বাস মাদবরের নির্দেশে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করেছে। এবং আমাদের অনেককে কুপিয়ে, বোমা মেওে মারাত্নক আহত করেছে।
আহত টিপু মাদবর বলেন, পুলিশ সঠিক দায়িত্ব পালন করলে আমাদের গ্রামে এত বেশী ক্ষতি হতো না। পুলিশ তেমন দায়িত্ব পালন করেনি। এটা দুঃখ জনক।

আহত ওলিউর রহমান খান বলেন, এমদাদ মাদবরকে বা কারা কাল মারধর করেছে। এর জের ধরে তার সমর্থকরা আজ সকালে আমাদের বাড়ী ঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্টানে হামলা করেছে। এটা খুবই অন্যায়।

বিনোদপুর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়াডের মেম্বার কোব্বাস মাদবর বলেন, আমি কোন মারামারি সাথে জড়িত না। তবে তারা আমার বাড়ী ঘরে হামরা করেছে। আমি তা প্রতিহত করেছি।
চিকন্দি ফাড়ির ইনচার্জ সমেন নাথ বিশ্বাস বলেন মারামারি থামাতে গিয়ে আমি সহ দুজন আহত হয়েছি।

পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আক্তার হোসেন বলেন, সাবেক মেম্বার এমদাদ মাদবর কে মারধরের ঘটনা কে কেন্দ্র করে বর্তমান মেম্বার ও সাবেক মেম্বারের সমর্থক দেও মধ্যে আজ মঙ্বগলবার সকাল থেকে দফায় দফায় সংঘর্ষ হচ্ছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করছে। পরিত্যক্ত অবস্থায় আমরা দুটি তাজা বোমা উদ্ধার করেছি। এখন ও কোন মামলা হয়নি।
#