শরীয়তপুর জেলার লিগ্যাল এইড কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে ১ জুন বুধবার। শরীয়তপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালত ভবনের ২০৩ নং কক্ষে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা, শরীয়তপুর জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমান এর সভাপতিত্বে এবং জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার (সিনিয়র সহকারী জজ) মো: খালেদ মিয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো: সালেহুজ্জামান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো: সাইফুদ্দিন গিয়াস, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: আবু সাঈদ, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো: জহিরুল ইসলাম, জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ, পাবলিক প্রসিকিউটর মির্জা হযরত আলী, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল এর বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর ফিরোজ আহমেদ সহ প্রমুখ।

সভায় জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমান তার বক্তব্যে বলেন, ‘একটি রাষ্ট্রকে কল্যাণ রাষ্ট্র হতে হলে মানুষের মৌলিক মানবাধিকার নিশ্চিত করতে হয়। বিচার পাওয়ার অধিকার প্রতিটি নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার। দরিদ্র মানুষের ন্যায় বিচারের প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করার লক্ষে বাংলাদেশে জাতীয় আইনগত সহায়তা আইন, ২০০০ প্রণয়ন করা হয়েছে।

বিনা খরচে আইনগত সহায়তা কার্যক্রমকে বেগবান করতে হলে জেলা লিগ্যাল এইড অফিসকে একটি পূর্নাঙ্গ অফিসে রূপান্তর করতে হবে যাতে তা আর্থিকভাবে অসচ্ছল, সহায় সম্বলহীন মানুষের জন্য অক্সিজেন হিসেবে কাজ করে। জেলা লিগ্যাল এইড অফিস থেকে যে কোন নাগরিক আইনগত তথ্য, পরামর্শ পেতে পারে, যে কোন নাগরিক মামলা না করে বিকল্প উপায়ে বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য লিগ্যাল এইড অফিসের সহায়তা নিতে পারে। সরকার মানুষকে সেবা দেয়ার জন্য কার্যক্রম গ্রহণ করেছেন কিন্তু অনেক মানুষ আইনগত সহায়তা কার্যক্রম সম্পর্কে জানে না। তাই আইনগত সহায়তা কার্যক্রমের ব্যপক প্রচারনা দরকার। শরীয়তপুর জেলা লিগ্যাল এইড অফিস হবে সারা জেলার বাতি ঘর।

উক্ত সভায় বিগত মাসিক সভার কার্যবিবরণী, অস্বচ্ছল ও সহায় সম্বলহীন বিচারপ্রার্থীর পক্ষে দাখিলকৃত আবেদনে প্যানেল আইনজীবী নিয়োগ অনুমোদনসহ বিবিধ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।