
শরীয়তপুর চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের আায়োজনে পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসি কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার ১৭ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টায় জেলা ও দায়রা জজ আদালত ভবনের সভা কক্ষে অনুষ্ঠিত কনফারেন্সে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ সালেহুজ্জামানের সভাপতিত্ব প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন শরীয়তপুর সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ কবি শেখ মফিজুর রহমান।
এ সময় জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমান বলেন, বিচার কর্ম একটি বড় মাপের শিল্প। আমরা প্রত্যেকেই সামাজিক ও পারিবারিকভাবে একজন বিচারক। এ সকল ক্ষেত্রে যদি ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা যায়, তাহলে সমাজ ও দেশ সুন্দর হবে। তিনি বলেন, আমাদের সকলের সমবদেনায় ব্যথিত হতে হবে, তাহলেও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে। আমরা শুধু আইন দিয়ে বিচারের সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকি। অথচ কাছে গিয়ে তা যাচাই করি না।
জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ হেদায়েত উল্যাহ সঞ্চালনায় কনফারেন্সে এ সময় উপস্থিত ছিলেন শরীয়তপুর পুলিশ সুপার মো: সাইফুল হক, অতিরিক্ত জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ তালুত, অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট চাঁদনী রূপম, সহকারী জজ মো: সালাউদ্দিন, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. সামছুল আলম, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট জহিরুল ইসলাম, পিপি এডভোকেট মির্জা হজরত আলী, পিবিআই কর্মকর্তা ও সকল থানা অফিসার ইনচার্জগণসহ বিভিন্ন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী প্রমূখ।
কনফারেন্সে সভাপতির বক্তব্যে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ সালেহুজ্জামান বলেন, আমাদের চ্যালেঞ্জ দ্রুত সময়ে মামলার নিস্পত্তি করা। সেই লক্ষে সঠিক সময়ে সাক্ষী আদালতে উপস্থাপন করতে হবে। মামলা তদন্তের ক্ষেত্রে শিশুদের প্রতি বিশেষ ভাবে খেয়াল রাখতে হবে। তাদের যেন কোন অবস্থাতেই প্রাপ্ত বয়স্কদের সাথে গুলিয়ে ফেলা না হয়। শিশুদের দোষী পত্র দিয়ে আদালতকে অবহিত করতে হবে। পেনাল কোর্ট ও বিস্ফোরক দ্রব্যের ধারা একই মামলায় বিদ্যমান থাকলে সেই ক্ষেত্রেও সতর্ক থাকতে হবে তদন্ত কর্মকর্তাকে। বিভিন্ন থানা মালখানায় নিস্পত্তি হওয়া মামলার যে সকল আলামত রয়েছে তা দ্রুত সময়ের মধ্যে ধ্বংস করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান এই বিচারক। বিচার কার্য দ্রুত সম্পন্ন করার লক্ষে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, সমন জারি, গ্রেফতারী, হুলিয়া ও ক্রোকি পরোয়ানা, জখমীর সনদ, ময়না তদন্ত্রের প্রতিবেদন দ্রুত সময়ের মধ্যে আদালতে প্রেরণে সংশ্লিষ্ঠ কর্মকর্তাদের নির্দেশ প্রদান করা হয়।
বিশেষ করে ময়না তদন্ত প্রতিবেদন, মেডিকেল সার্টিফিকেট, ফরেনসিক ও ভিসেরা রিপোর্ট স্পষ্ট অক্ষরে লিখতে বলা হয় এই কনফারেন্স থেকে। মামলা দ্রুত নিস্পত্তির লক্ষে সাক্ষী উপস্থাপনের জন্য পাবলিক প্রসিকিউটরকে তাগিদ প্রদান সহ ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় গ্রেফতারের ক্ষেত্রে আপীল বিভাগের নির্দেশনা অনুসরণ করার জন্য পুলিশ বিভাগকে নির্দেশ প্রদান করা হয়।
পুলিশ সুপার বলেন, আমরা পুলিশ-বিচারক সবসময় সমন্বয় করে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করবো। একে অপরের ভূলত্রুটি যাচাই করে পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসি সম্পর্ক মজবুত করবো।
https://www.youtube.com/c/RudraBartaTV/videos
#
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ৪ | |||
৫ | ৬ | ৭ | ৮ | ৯ | ১০ | ১১ |
১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮ |
১৯ | ২০ | ২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ | ২৫ |
২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ | ৩০ | ৩১ |