
শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলায় বিকেনগর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড মৃধ্যা কান্দি গ্রামে জাকির হোসেন ও তার স্ত্রী কলনি ও ছোট মেয়( ১৩) উপর জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হয়েছেন। গত ৯ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার হামলার ঘটনা ঘটেছে।
নিরীহ পরিবারটি ভিটেবাড়ি ছেড়ে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসারত অবস্থায় আছেন।
ভুক্তভোগী ঐ পরিবার জাজিরা থানায় গিয়ে কোনো সহযোগিতা নাপেয়ে শরীয়তপুর নারী শিশু নির্যাতন ট্রাইবনালে মামলা দায়ের করছেন।
ভূক্তভোগী পরিবারের সদস্য জাকির হোসেন জানান, আমি একজন নিরীহ ব্যক্তি। পরের ক্ষেতে কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করি। আমার স্ত্রী কলনির চাচাতো ভাই লোকমান বেপারী ভাই আমাদের ফসলি জমি পাট জোরপূর্বক কেটে নিচ্ছিলো, খবর পেয়ে আমার স্ত্রী গিয়ে বাধা দেন। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ৮ থেকে-১০ জন সন্ত্রাসী বর্তমান ৪ নং ওয়ার্ড মেম্বার জোবায়ের বেপারীর নেতৃত্বে আতয়ার বেপারী, আনোয়ার বেপারী, দেলোয়ার বেপারী, সজিব বেপারী, সাগর বেপারী, আল্ইসলাম বেপারী, লোকমান বপারী মিলে আমার স্ত্রী কলনি ও আমার মেয়ে ফাতেমা (১৩) কে কোদালের আছাড়ি দিয়ে মারধর করে। এতে আমার স্ত্রী ও মেয়ে মাটিতে লুটিয়ে পরলে স্থানীয়রা উদ্ধার করে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করেন। আমি আমার সন্তান ও স্ত্রীকে হাসপাতালে চিকিৎসা দিয়ে বাসায় গেলে উৎপেতে থাকা ঐ সন্ত্রাসীরা আবার আমার ঘরে ঢুকে মারধর করে পালিয়ে যায় এতে আমি অচেতন হয়ে পরি। পরে জাজিরা পুলিশ এসে উদ্ধার করে জাজিরা হসপিটালের ভর্তিকরেন।
ঘটনার ৭-৮ দিন পেরিয়ে গেলেও প্রভাবশালী জুবায়ের বেপারী ও তার লোকজন এখনো হুমকি ধামকি দিয়ে আসছেন।
এ বিষয়ে জাজিরা থানায় গিয়েও কোনো প্রতিকার পায়নি। পরে শরীয়তপুর আদালতে মামলা করলে জাজিরা থানাকে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। থানার পুলিশ এখোনো তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহন করতে পারেনি। আমি শরীয়তপুর পুলিশ সুপার এর নিকট সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে তাদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।
এদিকে হাসপাতালের বেডে যন্ত্রণায় প্রতিনিয়তই কাতরাছেন জাকির হোসেনের ও তারপরিবার।
হোসেনের স্ত্রী কলনী জানান, আমর বাবার পত্রিক সম্পত্তি জোরপূর্বক আমার চাচাতো ভাই লোকমান বেপারী দীর্ঘদিন দখল করে খাচ্ছেন, আমার চাষ করা পাটক্ষেত প্রকাশ্য সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে কেটে নিয়ে যাচ্ছে, আমি খবর পেয়ে বাধা দেই, সন্ত্রাসী জুবায়ের মেম্বার এর হুকুমে ৮-১০ জন সন্ত্রাসী আমার উপর এলোপাতাড়ি ভাবে মারধর শুরু করেন, সাথে আমার মেয়েকে হামলা করেন। নির্মম ভাবে হামলা করলো পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করলো না তাই আল্লাহ কাছে বিচার রইলো।
জাজিরা থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এই ঘটনার পর পরই আমার পুলিশ তাদের উদ্ধার করেন, তাঁরা এখন চিকিৎসা নিচ্ছেন, আমরা তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
#
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ৪ | |||
৫ | ৬ | ৭ | ৮ | ৯ | ১০ | ১১ |
১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮ |
১৯ | ২০ | ২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ | ২৫ |
২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ | ৩০ | ৩১ |