
কিশোর গ্যাং এবং সন্ত্রাসী বাহিনীর কাছে পালং বাসী অতিষ্ঠ। তাদের ভয়ে পালং বাসী জনগণ প্রতিবাদ করতে সাহস পাচ্ছে না। এই কিশোর গ্যাংদের কর্মকাণ্ডে সাধারণ মানুষ ভীত সন্ত্রস্ত। বাবা, মা তাদের ছেলেমেয়েদেরকে নিয়ে ঠিকমতো স্কুলে যেতে পারছে না। চিহ্নিত কিশোর গ্যাং এর সদস্যরা ইভটিজিং, মাদক বিক্রি, মাদক নেশা সহ মাঝেমধ্যে ডিবি পুলিশের পরিচয় দিয়ে ছিনতাই এর ঘটনা ঘটিয়ে থাকে।
সম্প্রতি এদের বিরুদ্ধে পালং থানায় ছিনতাই এর ঘটনাযর অভিযোগ হয়েছে। এই কিশোর গ্যাংদের কাছে পালং স্কুল যেন মাদক বিক্রির প্রধান গুরুত্বপূর্ণ স্থান। সম্প্রতি ঘটনা ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ রবিবার বেলা দুইটার দিকে এই কিশোর গ্যাং এর একটি গ্রুপ পালং উচ্চ বিদ্যালয়ের নিকটে পাকা সড়কের উপর অজ্ঞাত এক ব্যক্তিকে দেশীয় ধারালো অস্ত্র চাপাতি, রামদা, ছেনদা, লাঠিসোঠা নিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাথাড়ি ভাবে কোপাতে থাকে।
ওই সময় ওই পথ দিয়ে যাওয়া পথযাত্রী মিন্টু চৌকিদার এবং তার বোন খোরশেদা বেগম ওই অজ্ঞাত লোককে বাচাতে গেলে ওই কিশোর গ্যাং এবং সন্ত্রাসীদের সাথে বাগবিতণ্ড হয় এবং তাদের সাথে হাতাহাতি হয়। বাগবিতণ্ড এবং হাতাহাতির একপর্যায়ে মিন্টু চৌকিদার বাইকযোগে বাড়ি যাওয়ার পথে শাবনুর মার্কেটের নিকট গেলে পাকা রাস্তার উপর গাড়ি গতিরোধ করে ওই চিহ্নিত সন্ত্রাসী এবং কিশোর গ্যাংদের সদস্যরা দেশীয় ধারালো অস্ত্রশস্ত্র লাঠি সোটা লোহার রড এবং হকি স্টিক দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাথাড়ি ভাবে পিটাইতে থাকে। ভাইকে মারার খবর পেয়ে খোরশেদা বেগম ঘটনাস্থলে ভাইকে বাঁচাতে গেলে ওই সন্ত্রাসীরা খোরশেদা বেগমকেও আঘাত করে। ওই সন্ত্রাসীরা খোরশেদা বেগমের সাথে থাকা এক ভরি একটি স্বর্ণের চেইন এবং মিন্টু চৌকিদারের গলায় থাকা একটি স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয় এবং খোরশেদার চিৎকারের শব্দ শুনে ওই সন্ত্রাসীরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় এবং স্থানীয় লোকজন মিন্টু চৌকিদারকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত ডাক্তার প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে মিন্টু চৌকিদারকে আশঙ্কাজন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে পাঠিয়ে দেন। আহত মিন্টু চৌকিদার আশঙ্কা জনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ ঘটনা কে কেন্দ্র করে আহত মিন্টু চৌকিদারের বোন খোরশেদা বেগম ওই চিহ্নিত কিশোর গ্যাং ও সন্ত্রাসীদের নাম উল্লেখ করে পালং মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
এ বিষয়ে পালং মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ আক্তার হোসেন বলেন, আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
#
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ৪ | |||
৫ | ৬ | ৭ | ৮ | ৯ | ১০ | ১১ |
১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮ |
১৯ | ২০ | ২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ | ২৫ |
২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ | ৩০ | ৩১ |